গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ মৎস্যজীবি শম্ভু দাসের ওপর সন্ত্রাসী হামলার মুলহোতা শাহিনকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে তাকে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতের হাজির করা হয়।এ সময় বিচারক পার্থ ভদ্র শাহিনকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে শাহিনকে বগুড়ার সদর থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের দইহারা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিমন তালুকদার বলেন, ‘সরকারী জলাশয় ইজারায় অনিয়ম নিয়ে টিভিতে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় মৎস্যজীবি শম্ভু দাস সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। গত শনিবার তাকে নিজ বাড়ি থেকে পাশ্ববর্তী কোচাশহর বাজারে ডেকে নিয়ে ১০/১২ জনের সংঘবদ্ধ একদল সন্ত্রাসী অ্যালোপাথারী মারধর করে।’ পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। নির্যাতিত শম্ভু উপজেলার মহিমাগঞ্জ মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি ও মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই গ্রামের মৃত চৈতা দাসের ছেলে।

শম্ভুর দাস জানান, ‘গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার একাধিক সরকারী জলাশয় ইজারা দেয়া নিয়ে অনিয়ম ও দূর্নীতির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ইন্ডিপেন্ডেট টেলিভিশনের তালাশ অনুষ্ঠানে সম্প্রতি প্রচারিত হয়। সেখানে তিনি একটি সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন। এই সাক্ষাতকার দেয়ার কারণে তিনি প্রতিপক্ষের দ্বারা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।’

এদিকে, এঘটনায় রবিবার রাতে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিমন তালুকদার বাদি হয়ে স্থানীয় থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ে আরো ৮-১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

এ প্রসঙ্গে, গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি এ কেএম মেহেদী হাসান বলেন, ‘শাহিন ছাড়াও এ ঘটনায় আরো ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলো- উপজেলার শ্রীমুখ গ্রামের নুরুল আমিন চেংটুর ছেলে রাসেল (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মোনারুল (২৮), মোজাহার আলীর ছেলে আনু মিয়া (৩৫) ও শিবপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল মিয়া (২৫)।’

(এসআরডি/এসপি/অক্টোবর ২৩, ২০১৯)