নিউজ ডেস্ক : আত্মার কাছাকাছি যার বাস করে, সে আত্মার আত্মীয়ই তো বন্ধু। যার সঙ্গে নেই কোনো রক্তের সম্পর্ক, নেই চুক্তিভিত্তিক এক ছাদের নিজে বসবাসের কোনো চুক্তিপত্র। তবুও যেনো এ বাঁধন ছেঁড়ার নয়। বন্ধু শব্দের মাঝে মিশে আছে যেন নির্ভরতা আর বিশ্বাস। বন্ধু আর বন্ধন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। পাকাপোক্ত বন্ধনের ভিত্তিই বন্ধুত্ব।

বন্ধু কিংবা বন্ধুত্বের মতো সম্পর্কের সঙ্গে মানুষের পরিচয় দীর্ঘদিনের হলেও বন্ধুত্ব দিবসের উদযাপন কিন্তু বেশি দিন হয়নি। কাগজে কলমে প্রায় ৭৭ বছর আর আনুষ্ঠানিকতার দিক থেকে মাত্র দুই আড়াই দশক হলো ঝাঁকজমকভাবে উদযাপিত হচ্ছে বন্ধু দিবস।

বন্ধু দিবসের ইতিহাস নিয়ে বির্তক রয়েছে। জানা যায়, ১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এক ব্যক্তিকে হত্যা করে। দিনটি ছিল আগস্টের প্রথম শনিবার। হত্যার প্রতিবাদে পরের দিন ওই ব্যক্তির এক বন্ধু আত্মহত্যা করেন। সে সময় বিষয়টি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এরপর ১৯৩৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস আইন করে আগস্টের প্রথম রবিবারকে আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস ঘোষণা করে। সেই থেকে আগস্টের প্রথম রবিবার বন্ধু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

অন্য এক সূত্রে জানা যায়, বন্ধুত্ব দিবসের শুরুটা ছিলো ১৯১৯ সালে। হলমার্ক কার্ডের প্রতিষ্ঠাতা জয়েস হল এটি প্রচলন করেন। আগস্টের প্রথম রবিবার বন্ধুরা সবাই একে অন্যেকে কার্ড পাঠাত। বর্তমানে এ দিনটিতে এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে নানা রকম উপহার দিতে দেখা যায়।

এই উপমহাদেশে সর্বপ্রথম ভারতে বন্ধু দিবসের প্রচলন শুরু হয়। পরবর্তীতে নব্বইয়ের দশকের দিকে বাংলাদেশে বন্ধু দিবস পালন শুরু হয়।

মানুষ একা বাস করতে পারে না। সমাজে বাস করতে হলে, প্রতিদিন কারো না কারো মুখাপেক্ষী হতে হয়। কাউকে আপন করতে হয় আবার কাউকে পর করতে হয়। এ সবই প্রয়োজনের তাগিদে। তবে বন্ধুত্ব এমন একটি বন্ধন, এতে থাকে শর্ত ও স্বার্থহীন ভালোবাসা। বয়েসের অবস্থান, পরিবেশ, সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়ে বন্ধুত্বের ধরণও হয় ভিন্ন ভিন্ন।


(ওএস/এটিআর/আগস্ট ০৩, ২০১৪)