নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় নবম শ্রেণির (১৪) সংখ্যালঘু এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছোট চকচম্পক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ধর্ষক আমিনুল ইসলামকে অবশেষে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার ৬ দিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ছোট চকচম্পক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আমিনুল ইসলামের ছাত্রী কেলেঙ্কারীর ঘটনাটি এলাকার সকল মহলে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। এছাড়া ভিকটিম শিক্ষার্থীর পরিবার এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরও করেছেন। এতে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ম্যানেজিং কমিটির সভায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এদিকে ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা অবহিত করতে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষককে পত্র দিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম।

শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ধর্ষণের ঘটনায় মান্দা থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি উল্লেখ করে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তার দপ্তরে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, থানায় মামলা দায়েরের ৪ দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষক আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। শিক্ষক আমিনুল ইসলাম প্রভাবশালী হওয়ায় চরম আতঙ্কে রয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। অবিলম্বে আসামিকে গ্রেফতারের জোর দাবি জানান তারা।

ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে জানিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মান্দা থানার উপপরিদর্শক আমিরুল ইসলাম বলেন, আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, নওগাঁর মান্দা উপজেলার ছোট চকচম্পক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আমিনুল ইসলাম গত ১৮ অক্টোবর সকালে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে। শিক্ষক আনিমুল ইসলাম ছোট চকচম্পক গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার দিন সকালে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে ধর্ষনের শিকার হন ওই শিক্ষার্থী।

(বিএম/এসপি/অক্টোবর ২৪, ২০১৯)