আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : জেলার বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার সকালে ঢাকার ভাটারা থানার ওসি মো. মোক্তারুজ্জামান মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বৃহস্পতিবার রাতে গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এজাহারে সে উল্লেখ করেন বিয়ের প্রলোভনে প্রায় দেড় মাস ধরে ফারুক তাকে ধর্ষণ করে আসছিলো। অভিযুক্ত গোলাম ফারুকের ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজস্ব ফ্লাট রয়েছে। তবে সেখানে কেউ থাকেন না। মামলায় অভিযুক্ত ফারুক মাঝে মধ্যে বানারীপাড়া থেকে ওই ফ্লাটে এসেই ভিকটিম যুবতীকে ধর্ষণ করে।

পুলিশ জানায়, ভিকটিম যুবতী ঢাকার পল্লবী এলাকায় বসবাস করে সেখানকার একটি বিউটি পার্লারে কাজ করেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে। এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, গত মাসের শুরুতে ভিকটিমের মোবাইল ফোনে রং নাম্বার থেকে একটি কল আসে। পরবর্তীতে রং নাম্বারে কথা বলার সুবাধে তাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়।

একপর্যায়ে গোলাম ফারুক ওই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভনে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ফ্লাটে নিয়ে ধর্ষণ করে আসছিলো। সস্প্রতি ওই যুবতী বিয়ের জন্য গোলাম ফারুককে চাঁপ প্রয়োগ করলে সে নানা তালবাহানা শুরু করে। উপায়অন্তুর না পেয়ে ভিকটিম যুবতী গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে গোলাম ফারুকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ভাটারা থানার ওসি বলেন, অভিযুক্ত আসামি গোলাম ফারুককে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।

(টিবি/এসপি/অক্টোবর ২৬, ২০১৯)