আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : সহপাঠীদের সাথে বিরোধের জেরধরে পরিকল্পিতভাবে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেয়া ও পরবর্তীতে অমানুষিক নির্যাতনে নিহত স্কুল ছাত্র ইমাম হোসেন ইমনের লাশ নিয়ে রবিবার সকালে বিক্ষোভ করেছেন গ্রামবাসী। এসময় তারা হত্যাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। নিহত ইমন জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিন বেপারীর পুত্র ও স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রছিলো।

জানা গেছে, দীর্ঘ বিশ দিন ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে ইমন মারা যায়। রবিবার সকালে নিহত স্কুলছাত্র ইমনের লাশ ইসলামপুর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসলে এলাকাবাসী ও স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। সকাল দশটায় ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিহতের জানাজা শেষে ইমন হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কফিন কাঁধে নিয়ে বিক্ষোভ করেন গ্রামবাসী। এসময় তারা ইমন হত্যায় জড়িতদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর রাতে পূজায় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ইমনকে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তার সহপাঠী একই গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র নুরুন নবীন, হাসান, সোহেল ও মুন্না। পরে তাদের মধ্যে সৃষ্টবিরোধের জেরধরে ইমনকে পরিকল্পিতভাবে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেয়ার পর তাকে (ইমন) একটি বাসায় আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। পরেরদিন মুমূর্ষ অবস্থায় ইমনকে উদ্ধার করে প্রথমে বরিশাল শেবাচিম ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বাবুগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার পরপরই ইমাম হোসেনের পিতা বাদি হয়ে হত্যা চেষ্ঠার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার এজাহারভূক্ত আসামি সোহেলকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, পূর্বের মামলার ধারা সংযোজন করে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে।

(টিবি/এসপি/অক্টোবর ২৭, ২০১৯)