রাজন্য রুহানি, জামালপুর : গাছের বাগানে গরু বাঁধা নিয়ে প্রতিবাদ করায় কলেজ ছাত্রী ও তার মাকে মারধর করেছে প্রতিপক্ষরা। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা ওই কলেজছাত্রী ও তার মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলেও দায়সারা চিকিৎসা দিয়ে রিলিজ করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় রাতে পাল্টাপাল্টি মামলা হলেও এখনো গ্রেফতার হয়নি কেউ।

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামে শনিবার (২৬ অক্টোবর) ঘটেছে ঘটনাটি।

মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সম্মান শেষবর্ষের ছাত্রী রাবেয়া সুলতানা স্বপ্নার পিতা কালাম মোল্লার সাথে প্রতিবেশী হাসমত আলীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর আগেও হাসমত আলীর পরিবার বেশ কয়েকবার কালাম মোল্লার পরিবারের লোকজনদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বপ্না। শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে কালাম মোল্লার বাগানের গাছপালা হাসমতের বেঁধে রাখা গরু-ছাগলে নষ্ট করলে সেখান থেকে সরিয়ে নিতে বলে কালাম মোল্লার স্ত্রী মহুয়া বেগম।

এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে মহুয়া বেগমকে মারধর করে হাসমত ও তার ভাইয়ের পরিবারের লোকজন। মাকে প্রতিপক্ষদের হাত থেকে উদ্ধার করতে গেলে স্বপ্নাকেও মারধর করে তারা। এতে মা মেয়ে দুজনেই গুরুতর আহত হয়। দীর্ঘক্ষণ অজ্ঞান অবস্থায় থাকার পর স্বপ্না ও তার মাকে উদ্ধার করে মেলান্দহ হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।

মেলান্দহ হাসপাতাল থেকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয় তাদের। হাসপাতালে ভর্তি না করে ইমারজেন্সি বিভাগ থেকে দায়সারা চিকিৎসা করে তাদের বিদায় দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় শনিবার রাত ১২টার দিকে ৬জনকে আসামি করে মেলান্দহ থানায় মামলা করেন স্বপ্নার মা মহুয়া বেগম।

অপরদিকে স্বপ্না বেগমের পরিবারের ৬জনকে আসামি করে পাল্টা মামলা করেন হাসমত আলীর পরিবার। এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে বিবাদ আরও ঘনীভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

মেলান্দহ থানার ওসি মো. রেজাউল করিম জানান- মারধরের ঘটনা শোনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি আহতরা হাসপাতালে গেছেন। রাতে দু পক্ষই মামলা করেছেন। এ ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।

(আরআর/এসপি/অক্টোবর ২৭, ২০১৯)