রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাওঁয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় একের পর এক ঘটেই যাচ্ছে চুরি হওয়ার ঘটনা।

চলতি মাসে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকার বাড়ী থেকে মোবাইল চুরির ঘটনার পাশাপাশি। এখন চলছে উপজেলাজুড়ে বাড়ী গুলোতে অভিনব কায়দায় চুরি হওয়ার ঘটনা।

গত ১৬ অক্টোবর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নেকমরদ এলাকার বাসিন্দা আবু শাহীনের বাড়ী থেকে ৩ভরি র্স্বণ ও নগদ দুই লাখ টাকা চুরি হয়।
এর পর গত ২৫ ও ২৬ অক্টোবর রাতে উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি প্রভাষক সফিকুল আলমের গ্রামের বাড়ী বনগাঁও থেকে দিনাজপুর ডিবিতে কর্মরত ডিবি সদস্য আসাদুজ্জামান স্বপনের মার ঘর থেকে আলমারি ভেঙ্গে সাড়ে ৪ ভরি র্স্বণ ও নগদ ১০হাজার টাকা এবং বনগাঁও এলাকার বাসিন্দা ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মামাতো ভাই আলিফের বাড়ী থেকে তার আলমারি ভেঙ্গে ২৫ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এর আগে ধারাবাহিকভাবে বনগাঁও এলাকার বুলবুলের বাড়ী থেকে ঢিভিসহ নগদ ৩০হাজার টাকা বাদলের বাড়ী থেকে র্স্বণ ও সাবেক ইউপি সদস্য জলিলের বাড়ী থেকে তালা ভেঙ্গে একটি সাইকেল চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবী এ চুরির ঘটনাগুলো গভীর রাতে হচ্ছে এবং চোরেরা অভিনব কায়দায় কোন রাসায়নিক পদার্থ স্পে করে অচেতন করেই চুরি করে চলছে। কারণ চুরি হওয়ার পর সকালে ঘুম থেকে উঠেই অসুস্থবোধ মনে হচ্ছে। এবং নিজেদের চোখে ঘুমের ভাব থাকছে।

জানতে চাইলে অফিসার ইনর্চাজ(ওসি) আব্দুল মান্নান মুঠোফোনে বলেন, চুরি ঠেকাতে গ্রাম পুলিশদের নিজ নিজ এলাকায় রাতে পাহারা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এবং এদের মনিটরিং করার দায়িত্ব ইউপি সদস্যদের দেওয়া হয়েছে। তবে চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করে আটক করতে পারেনি বলে ওসি মন্তব্য করেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না চুরির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমি আইনশৃঙ্গলা বাহিনীর সাথে কথা বলেছি খুব শিগগির চুরি ঠেকিয়ে জড়িতদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে আইনশৃঙ্গলা বাহিনীর কাছে প্রত্যাশা করি।

(এস/এসপি/অক্টোবর ২৮, ২০১৯)