সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে বেকায়দায় পড়ছেন গ্রাহকরা। দেড় হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল ৪৫ হাজার টাকা, চা স্টলের বিল ২৩ হাজার টাকা ও চুরি হওয়া মিটারের বিল ৯ হাজার টাকা আসার মত অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে।

সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের রাখালগাছা বাজারের ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপের দোকান মালিক শাহাদত হোসেনের অভিযোগ, নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিংড়া জোনাল অফিস থেকে ইস্যু করা তার দোকানের সেপ্টেম্বর মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৪৫ হাজার ৬০৬ টাকা। যা আগস্ট মাসে ছিল ১ হাজার ৭১৯ টাকা। জুলাই মাসে এসেছিল ১ হাজার ২৮৬ টাকা।

শাহাদত হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেনের দাবি, ৪৫ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল কাল্পনিক ছাড়া কিছু নয়। তিনি জানান, জুলাই মাসে মোট ১১৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে। মিটার ভাড়া ১০ টাকা ও ভ্যাট ৬২ টাকাসহ মোট নিট বিল করা হয়েছে ১২৮৬ টাকা। আগস্ট মাসে ১৫৫ ইউনিটের বিপরীতে ৮২ টাকা ভ্যাট ও অন্যান্যসহ মোট বিল করা হয়েছে ১৭১৯ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ৪২১৩ ইউনিটের বিপরীতে মিটার ভাড়া ও ভ্যাট ২১৭২ টাকা ধরে মোট বিল করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৬০৬ টাকা। যা শুধু অসম্ভবই নয়, কল্পনারও বাইরে। দোষ করবে বিদ্যুৎ অফিস, আর খেসারত কেন গ্রাহককে বইতে হবে?

শেরকোল শাহী বাজারের চা বিক্রেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার চা স্টলে বিল এসেছে ২৩ হাজার ৫’শ টাকা। এটা আমার মিটারের প্রথম বিল। অফিসে বলেছি, দেখি কি করে।

একই এলাকার আফাজ উদ্দিন জানান, গত চৈত্র মাসে তার মিটার চুরি হয়ে গেছে অথচ এ মাসে তার বিল এসেছে ৯ হাজার ৬২৭ টাকা। এ বিষয়ে অফিসে বার বার বলেও কোন সমাধান পাননি তিনি।

পৌর এলাকার বালুয়া-বাসুয়া মহল্লার সুমন মাহফুজ বলেন, প্রতিমাসে আমার বিল আসতো ৪৫০
থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে কিন্তু এ মাসে এসেছে ৪ হাজার ৪৭৫ টাকা। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এসেছিল বাধ্য হয়ে বিল পরিশোধ করেছি।

এড. ইউসুফ আলীর অভিযোগ, আমার বাসায় কেউ থাকেনা, বিল আসার কথা শুধুই মিনিমাম চার্জ। কয়েক মাস আগে থেকে ১ হাজার ৫’শ টাকা বিল আসতে শুরু করে। অফিসে গিয়ে অতিরিক্ত বিল আসার প্রতিবাদ করলে আমার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

বড়িয়া গ্রামের মাওঃ ওমর ফারুক ও হাতিয়ান্দহ এলাকার আবু তাহের জানান, আগে বিল আসতো ৩’শ থেকে ৪’শ টাকা এ মাসে এসেছে ১ হাজার টাকার উপরে। আমরা এর প্রতিকার চাই।

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সিংড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) রেজাউল করিম বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি, এগুলো বিষয়ে জানিনা। তবে গ্রাহকদের যেকোন অভিযোগ পর্যালোচনা করে সমাধান করে দেবো।

(এম/এসপি/অক্টোবর ২৮, ২০১৯)