বরগুনা প্রতিনধি : বরগুনার বেতাগী সোনালী ব্যাংক শাখায় গত ২৩ জুলাই ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের কক্ষ থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলামের চার লাখ ৯০ হাজার টাকাভর্তি ব্যাগ চুরি হয়। কিন্তু চুরি যাওয়ার ১২ দিনেও চোর শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। গতকাল রবিবার সকালে এই চুরির ঘটনার তদন্ত করতে একটি তদন্তটিম সোনালী ব্যাংকের বেতাগী শাখা পরিদর্শন করেন।

এ চুরির বিষয়ে ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চোরের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ করেছেন আসাদুল ইসলাম। এ ব্যাপারে বেতাগী থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দিলেও গতকাল রবিবার পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাটি মামলা হিসেবে আমলে নেয়নি।

আসাদুল ইসলাম জানান, গত ২২ জুলাই দুপুরে তিনি সোনালী ব্যাংক বেতাগী শাখায় তাঁর হিসাব নম্বরের অনুকূলে চার লাখ ৯০ হাজার টাকা জমা দিতে যান। কিন্তু জমা নেওয়ার সময় পার হওয়ার কথা বলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার টাকা জমা নেননি। পরদিন ২৩ জুলাই তিনি আবার টাকা জমা দিতে গেলে ক্যাশিয়ার আবদুস শহিদ জমা ভাউচারে নোটের সংখ্যা না লেখায় জমা নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তিনি ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের কক্ষে গিয়ে তাঁর সামনে বসে নোটের সংখ্যা লিখে দেখেন, পাশের চেয়ারে রাখা টাকাভর্তি ব্যাগটি নেই। পরে খোঁজ করেও আর টাকার হদিস পাননি।

আসাদুল অভিযোগ করেন, ব্যাংকের ক্যাশিয়ারসহ কয়েকজন অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তার যোগসাজশে তাঁর টাকাভর্তি ব্যাগটি সংঘবদ্ধ চোরেরা গায়েব করে ফেলেছেন। আর এ জন্যই ক্যাশিয়ার ও ব্যবস্থাপক দুদিন ধরে নানা অজুহাত দেখিয়ে টাকা জমা নিতে চাননি।

বেশ কয়েকজন গ্রাহক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ওই শাখায় টাকা জমা দিতে গিয়ে বেশ কয়েকজন গ্রাহকের টাকা চুরি হয়। এর মধ্যে গ্রাহক রফিকুল ইসলামের দুই লাখ, শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের এক লাখ, মো. রিয়াজ খানের ৫০ হাজার সহ আরও কয়েকজন গ্রাহকের টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও এ বিষয়ে ব্যাংকের কর্মকর্তারা কোনো ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেননি বলে গ্রাহকেরা অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে চুরি যাওয়া টাকারও কোনো হদিস পাননি।

এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক বেতাগী শাখার ব্যবস্থাপক পীযূষ কান্তি হালদার টাকা চুরির ঘটনায় তাঁর ও ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার সংশ্লিতার অভিযোগ অস্বীকার করে আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এর আগে ব্যাংক থেকে কোনো গ্রাহকের টাকা চুরি হয়েছে এমন ঘটনা আমার জানা নেই। তার পরেও আমরা সতর্ক রয়েছি। ২৩ জুলাই অভিযোগ পাওয়ার পর গ্রাহকের সঙ্গে অশোভন আচরণের কারণে সংশ্লিষ্ট ক্যাশিয়ারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’

(এমএইচ/এটিআর/আগস্ট ০৩, ২০১৪)