বাগেরহাট প্রতিনিধি : ইলিশসহ সবধরনের মৎস্য আহরণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে আবার দেশে নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরে শুরু হচ্ছে মাছ ধরা। ইলিশ শিকারিরাও সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার অপেক্ষায়। মাছ আহরনের মধ্যে দিয়ে নিথর মৎস্য আড়ৎ, জেলেপল্লী হয়ে উঠেছে উৎসবমুখর। 

বুধবার সন্ধ্যায় বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কেবি বাজার ও বরফ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক ফিশিং ট্রলার কলগুলোর ঘাটে ভিড় করে আছে বরফের অপেক্ষায়। জেলে ও বরফকলের শ্রমিকরা ট্রলারে জাল তুলছে, জ্বালানি তেল, বরফ ভরছে। আর রসদ কেনাকাটায় ব্যস্ত মহাজনরা। কথা হয় এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারের মাঝি ইসমাইলের সাথে।

তিনি জানান, মাছ ধরা পেশায় থেকে সারাবছরে পরিবারের কারো সঙ্গেই দেখা-সাক্ষাৎ হয় না। তাই অবরোধের অবসর সময়টা বাড়িতে পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়েছেন। তার ট্রলারের ১৭ জন জেলে সবাই যার যার বাড়ি থেকে আবার ফিরে এসেছে।

শরণখোলার মৎস্য আড়তদার মো. কবির হাওলাদার জানান, অবরোধের মধ্যে জাল, ট্রলার, ইঞ্জিন মেরামত করে প্রস্তুত করা হয়েছে। নতুন করে জেলে-মাঝি নিয়োগ এবং সাগরে পাঠানো পর্যন্ত একেকটি ট্রলারে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা খরচ হবে প্রত্যেক মালিকের।

বাগেরহাট জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, অবরোধের মধ্যে জেলায় কোনো জেলে মাছ ধরতে নামেনি। সরকারি নিষেধাজ্ঞা পালনে আমরা সবাই সহযোগিতা করেছি। রাত ১২টার পর থেকে কমপক্ষে তিন শ ট্রলার বঙ্গোপসাগরের উদেশ্যে ছেড়ে যাবে।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. খালিদ কনক বলেন, বাগেরহাটের মৎস্যজীবীরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। জেলে-মহাজনসহ সবার সহযোগিতায় ২২ দিনের অবরোধ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

(এসএকে/এসপি/অক্টোবর ৩০, ২০১৯)