আন্তজার্তিক ডেস্ক : বুধবারে দক্ষিণ কোরিয়ায় ফেরি ডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় ১৭৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২৮৭ জন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশটির নৌ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ১শ’ ৭৯ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। যাত্রীদের বেশিরভাগই মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

উদ্ধারকারী দল সারারাত আলো জ্বেলে বিরতিহীন অনুসন্ধান চালালেও প্রবল স্রোত অভিযানকে ব্যাহত করছে বলে জানা যায়। স্রোতের কারণে ডুবুরিরা ডুবে যাওয়া ফেরিটিতে প্রবেশ করতে পারছেন না। ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজ যাত্রীদের বেশিরভাগই ফেরিতে আটকা পড়ে আছেন।

ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ফেরিটি কেন ডুবে গেছে, তা এখনো অনাবিষ্কৃত। তবে বিশেজ্ঞরা বলছেন, পানির নিচে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এ ঘটনা ঘটেছে।

দেশটির নিরাপত্তা ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী ক্যাং বুঙ কিউ জানিয়েছেন নিখোঁজদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে নৌ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। উদ্ধার অভিযানে ১৬৯টি বোট ও ২৯টি বিমান অংশ নিয়েছে।

এদিকে উদ্ধারকৃত নয়টি মৃত দেহের মাঝে ১৭ বছর বয়সী চারজন ছাত্র, ২৫ বছর বয়সী এক শিক্ষক এবং ২২ বছর বয়সী জাহাজের এক মহিলা সদস্য রয়েছেন। বাকি তিনটি মৃতদেহের পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ৪৭০ যাত্রী নিয়ে ফেরি ডুবে যায়। উপকূলীয় এলাকা ইনছিয়ন থেকে দক্ষিণের দ্বীপ জেজুতে যাবার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

যাত্রীদের অধিকাংশই ছিল মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থী।

সর্বশেষ তথ্যমতে, জাহাজটিতে ৪শ’ ৭০ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মাঝে ২শ’ ৮৭ জন এখনো নিখোঁজ। তবে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার এই সংখ্যা বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করে পরিবেশ

(ওএস/এটি/ এপ্রিল ১৭, ২০১৪)