বিনোদন প্রতিবেদক : রোহিঙ্গা ছবির কাজ শেষ করে এনেছেন পরিচালক অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড। ছবিটির ডাবিংও শেষ । এখন শুধু মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। অনেক দিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিয়মতান্ত্রিক পরিকল্পনা, গল্প নিয়ে নানা ধরনের গবেষণা, নির্মাণশৈলী নিয়ে চিন্তা ভাবনা এবং তার চেতনানির্ভর আকাংখার বহি:প্রকাশ এই ছবিটি। রোহিঙ্গা সংকটের মৌলিক সমস্যাগুলো ছবিটিতে তুলে আনার চেষ্টা করেছেন তিনি। 

অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড বলেন, ‘একজন চলচ্চিত্রকার হিসেবে আমি কেবল সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারি, সমাধান দিতে পারি না। এই দায়িত্ব সরকারের তথা পার্লামেন্টের।’ রোহিঙ্গা সংকট একদিনের নয়, বহু দিনের। এই সংকট এখন একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানকে নিয়ে যে কমিশন গঠিত হয়েছিল, তার প্রতিবেদনসহ রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মিয়ানমারের ডি-ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সুচির ভূমিকা তুলে আনা হয়েছে ছবিটিতে। আলোকপাত করা হয়েছে জাতিসংঘের ভূমিকার ওপরও।

ডায়মন্ড বলেন, ‘ছবিটি নির্মাণ করতে আমি যথেষ্ট শ্রম দিয়েছি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের ভূমিকাও আমি ছবিটিতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’

মিয়ানমার সরকারের নিপীড়নে দেশ ছাড়া হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। তাদের দূর্বিষহ জীবনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে ছবিটিতে। শবনম শেহনাজ চৌধুরী প্রযোজিত রোহিঙ্গা ছবি প্রসঙ্গে নির্মাতা অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড বলেন, ‘আমি ২০১২ সালে নিবন্ধন করেছিলাম। ২০১৭ সালে যখন রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সরকারের নিপীড়ন শুরু হয় তখন তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসে। আমি তখন ক্যামেরা নিয়ে ছুটে যাই সেই দৃশ্যধারণ করার জন্য। আমি চেয়েছি বাস্তব বিষয়টা সিনেমায় উঠে আসুক।

’ডায়মন্ড বলেন, ‘আমার সিনেমাটি যদি মানুষ না দেখে তাহলে আমার আফসোস হবেনা। মানুষ এক সময় আফসোস করবে। আমি রোহিঙ্গাদের নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করছি। কেউ যদি দেখে তাহলে ভালো। আমি আমার চেতনা থেকে সবসময় সিনেমা নির্মাণ করি।’ তিনি জানান, ডিসেম্বরের যে কোনো সপ্তাহে মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। কারণ এ ধরনের ছবির জন্য কোনো উপলক্ষ্যের প্রয়োজন হয় না।

রোহিঙ্গা ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ওমর আইস অনি, আরশি হোসেন, সুচি, সাগর, বৃস্টি, তানজিদ, শাকিবা, হায়াতুজ্জামান, গোলাম রাব্বানি, মিন্টু, শ্রেয়া, তাওহিদ, এনামুল হক প্রমুখ। চিত্রগ্রহণে রয়েছেন আসাদুজ্জামান মজনু।

(এম/এসপি/নভেম্বর ০৫, ২০১৯)