বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংর্ঘষে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের মোল্লারকুল গ্রামে শালিস বৈঠক চলাকালে সলেমান মোল্লা ও মিকাইল মাস্টারের সমর্থকদের মধ্যে ওই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ছয়জনকে মোল্লাহাট থেকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধরা হলো- শাহিন মোল্লা (৪০), মোশারেফ মোল্লা (৫০), তহিদ মোল্লা (৫৮), লাভলু মোল্লা (৪৫), নুরুল ইসলাম (২২),সজিব মোল্লা (২২),শরিফুল মোল্লা (১৮)। এছাড়া লিয়াকত মোল্লা (৪৫), তায়জুল মোল্লা (৩০), লিটন মোল্লা (৪৫), রাজু মোল্লা (২৩), রনি মোল্লা (২২), বশির মোল্লা (৪০), তিশা আক্তার (১৪), মহিউদ্দিন (১৩) ও আরোজ মোল্লাকে (১৮) আহত অবস্থায় মোল্লাহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষের পর মোল্লারকুল গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সালিশ বৈঠক চলাকালে সেখানে মুহুমহুর গুলিবর্ষণের ঘটনায় চারিদেক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একাধীক আগ্নেয়াস্ত্র থেকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষন করা হয়। এসময় উভয় পক্ষের কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কারো কারো শরীরে ধারলো অস্ত্রের আঘাতও রয়েছে। এঘটনার পর সলেমান মোল্লা ও মিকাইল মাস্টারের সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুনরায় সংঘর্ষে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

মোল্লাহাট থানার ওসি আনম খায়রুল আনাম জানান, শনিবার বিকালে মোল্লাহাট উপজেলার মোল্লারকুল গ্রামের মাঠে ঈদ উপলক্ষে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ওই খেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই নেতা সলেমান মোল্লা ও মিকাইল মাস্টারের সমর্থকরা অংশ গ্রহণ করেন। খেলা চলাকালে দুই পক্ষের সমর্থক ও খেলোয়ারদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। ওই ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যায় মোল্লারকুল গ্রামে স্থানীয় আবু নাসের স্মৃতি সংসদ কার্যালয়ে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠক চলাকালে সলেমান মোল্লা ও মিকাইল মাস্টারের সমর্থকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে সেখানে গুলিচালালে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ কয়েকজন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ওসি আনম খায়রুল আনাম আরো জানান, পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে, সলেমান মোল্লার লাইসেন্সকৃত বন্দুক থেকে গুলি চালানো হয়েছে। পুলিশ ওই লাইসেন্সকৃত বন্দুকটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাছে। সলেমান মোল্লা ও মিকাইল মাস্টার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সংঙে যুক্ত বলে ওসি জানান।

(একে/এইচআর/আগস্ট ০৪, ২০১৪)