মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর সদর হাসপাতালের দারোয়ানদের গাফিলতির কারণে বৃহস্পতিবার সকালে এক নবজাতকের (ছেলে) মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নবজাতকের বাবা, দাদু ও ফুপিকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নবজাতক মাদারীপুর শহরের পানিছত্র এলাকার মারুফ শেখের সন্তান।

হাসপাতাল, পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে মাদারীপুরের চৌধুরী ক্লিনিকে মারুফ শেখের স্ত্রীর অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান হয়। নবজাতকের অবস্থার অবনতি হলে ঐ ক্লিনিক থেকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে নবজাতকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সদর হাসপাতালের ডাক্তার বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। নবজাতককে ফরিদপুর নিয়ে যাওয়ার জন্য এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করা হয়। এসময় সদর হাসপাতালের ডাক্তার ওয়ার্ডের ভিতরে ভর্তি হওয়া রোগী দেখতে ছিল।

এ সময় দারোয়ানরা ওয়ার্ডের দরজা বন্ধ করে রাখে। দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় নবজাতকের পরিবারের সদস্যরা বাহির থেকে ধাক্কাধাক্কি করে দরজা খোলার জন্য। এতে দারোয়ানরা তাদের বাধা দেয় এবং এক পর্যায় মারধর ধরে। এ সময় দারোয়ানদের আঘাতে নবজাতকের বাবা মারুফ শেখের (৩০) মাথা ফেটে যায়। নবজাতকের দাদি রাহেলা বেগম (৫০) ও ফুপু মুক্তা আক্তার (২২) দারোয়ানদের আঘাতে আহত হয়।

নবজাতকের বাবা মারুফ শেখ জানান, ফরিদপুর রেফারের কথা শুনে আমি ডাক্তারের সাথে সরাসরি কথা বলতে ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে দরজার সামনে থাকা দারোয়ান আমাকে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ সময় আমার মা ও বোনকে আঘাত করা হয়। দারোয়ানের গাফিলতির কারণেই আমার বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. জহিরুল ইসলাম খান ফিরোজ বলেন, বাচ্চাটির ওজনের ঘাটতি ছিল। অবস্থার অবনতির কারণে তাকে ফরিদপুর রেফার করা হয়েছিলো। কক্ষের বাইরে বাচ্চার বাবার সাথে হাতাহাতির ব্যাপারে আমি সঠিক ভাবে অবগত নই।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, ঐ নবজাতকের অভিভাবকরা ভিতরে ঢুকতে চাইলে ধাক্কা ধাক্কির ঘটনা ঘটে। তাই এই ঘটনায় নবজাতকের পরিবারের সাথে শনিবার বসে কথা বলা হবে।

(এ/এসপি/নভেম্বর ০৭, ২০১৯)