লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ট্যাটু। চামড়ার স্তর কেটে কালি ঢুকিয়ে ট্যাটু করা হয় বলে অনেকের মধ্যে চর্মরোগ বা স্থায়ী ট্যাটু করা নিয়ে কিছুটা ভয় কাজ করলেও এর জনপ্রিয় দিনে দিনে বাড়ছেই।

একটা সময় ছিল যখন চলচ্চিত্র বা খেলাধুলা জগতের জনপ্রিয় তারকাদের শরীরে নানারকম ট্যাটু বা উল্কি দেখা যেত। কিন্তু চিত্রটা এখন বদলেছে। অন্যান্য দেশের মতো ঢাকায়ও গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ট্যাটু স্টুডিও।

মূলত ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবেই এর প্রচলন বেশি। আবার কেউ কেউ শখের বশের শরীরে ট্যাটু আঁকিয়ে নেন।

ট্যাটুর প্রচলন হয় আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর আগে মিশরে। সেই সময়ের এক পুরুষ মমির শরীরে একটি ষাড় ও একটি ভেড়ার উল্কি দেখা যায়।

তাছাড়া জাপানের আদি জাতিগোষ্ঠী আইনু ঐতিহ্যবাহীভাবে তাদের মুখে উল্কি বা ট্যাটু ব্যবহার করতো।

বর্তমান বিশ্বেও ঐতিহ্যগতভাবে ট্যাটু ব্যবহারের প্রচলন রেখেছে এমন কতোগুলি জাতি হচ্ছে, উত্তর আফ্রিকার বার্বারের টামাজঘা, নিউ জিল্যান্ডের মাউরি, এবং তাইওয়ানের আতায়া।

পলিনেশীয় জনসাধারণের মাঝে এবং তাইওয়ান, বোর্নিও, মেন্তাওয়ী দ্বীপপুঞ্জ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, মেসোআমেরিকা, ইউরোপ, জাপান, কম্বোডিয়া, নিউ জিল্যান্ড, মাইক্রোনেশিয়ার নির্দিষ্ট কিছু জনসাধারণের মধ্যেও ট্যাটু ব্যবহারের প্রচলন দেখা যায়।

মেয়েরা অনেক সময় ট্যাটু আঁকার বিষয়টি গোপন রাখে

ট্যাটু মূলত একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করে। কেউ আঁকেন প্রিয় মানুষের ছবি, কেউ প্রিয় নাম, কেউ কোনো সাংকেতিক শব্দ বা অন্য কোন লেখা। আগ্রহী ব্যক্তির পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন রঙের মাধ্যমে তীক্ষ্ণ সূচের সাহায্যে ট্যাটু আর্টিস্ট ট্যাটু করে থাকেন। মানুষের শরীরের সাত স্তরের চামড়ার দ্বিতীয় স্তর কেটে কালি বসিয়ে ট্যাটু করা হয়। যেহেতু চামড়া কেটে উল্কি আঁকা হয় সেহেতু কিছুটা ব্যথাও অনুভূত হতে পারে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০৯, ২০১৯)