বাগেরহাট প্রতিনিধি : সুপার সাইক্লোনে রূপ নিয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত আনতে এগিয়ে আসায় সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা চালাতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সুন্দরবন বিভাগের ২৩ টি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বাগেরহাটে ৩০ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও পর্যাপ্ত বোতলজাত খাবার পানি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতায় জন্য প্রস্তুত রয়েছে রেড ক্রিসেন্টসহ সরকারী-বেসকারী ১৭ হাজার ১৩০জন স্বেচ্ছাসেবক। জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৪টি মেডিকেল টিম। বাগেরহাটের ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের ধারন ক্ষমতা রয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৭৫জন মানুষের। জেলার সব আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। বাগেরহাটে বইতে থাকা ঝড়ে আহওয়া ও বৃষ্টির মধ্যে বিকাল পর্যন্ত এসব আশ্রয় কেন্দ্র ১৩ হাজার ৪৫১ জন নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয় নিয়েছে।

সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা চালাতে নৌবাহিনীর ৪টি জাহাজসহ ৪শত নৌসেনা, মোংলা বন্দরের জাহাজ ৩টি জাহাজ এমটি সুন্দরবন, এমটি শিপসা ও এমটি অগ্নিপ্রহরী প্রস্তুত রয়েছে। একই ভাবে কোষ্টগার্ডের সিজিএস কামরুজ্জামান, মুনসুর আলী, স্বাধীন বাংলা, সোনার বাংলা, অপারেজয় বাংলাসহ ১০টি জাহাজ ও সুন্দরবন বিভাগের ৬টি প্রস্তুত রাখা হয়েছে উদ্ধার তৎপরতার চালানোর জন্য।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, বাগেরহাটে ১০ নম্বার মহাবিপদ সংকেত জারির পর উপজেলা, পৌর কর্তৃপক্ষ, কোস্টগাড পুলিশ, আনসার, বন্দর কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস, ইউনিয়র পরিষদ ও মসজিদ থেকে দুর্গতদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে দফায় দফায় সতর্কতামুলক মাইকিং করা করা হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবক বাড়ীতে-বাড়ীতে গিয়ে দুর্গতদের বাঁচাতে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলছেন। আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠার দুর্গত মানুষের আশ্রয়ের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। আশা করছি ঝড় শুরু হবার আগেই সকল দুর্গত মানুষ আশ্রয় কেনেদ্র নিয়ে আসা যাবে। সে ভাবেই তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মোংলা বন্দরে রাত থেকে জাজাকে পণ্য ওঠানামা ও বন্দরে জাহাজ আগমন নির্গমন বন্ধ রয়েছে। মোংলা বন্দরে অবস্থানরত সকল দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে জেটি থেকে সরিয়ে পশুর চ্যানেলে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সব ধরনের লাইটার জাহাজকে বন্দরের পশুর চ্যানেল ত্যাগ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

(এসএকে/এসপি/নভেম্বর ০৯, ২০১৯)