আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : ঘুর্ণিঝর বুলবুল এর সময় আগৈলঝাড়ায় ইউএনও এবং এসিল্যান্ড অফিসে না থাকায় দূর্যোগ মোকাবেলায় সভা করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফিরে গেলেন মন্ত্রী আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি।

১০ নম্বর মহা বিপদ সতর্কতা সংকেত ডাকা ঘুর্ণিঝর বুলবুল এর কারণে বরিশাল বিভাগসহ দেশের সংশ্লিষ্ঠ বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকার সরকারী সকল কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করলেও আগৈলঝাড়ায় ইউএনও এবং এসিল্যান্ড নিজস্ব এলাকায় (ষ্ঠেশনে) না থাকায় ঘুর্নিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় কোন প্রস্তুতি সভা করতে না পেরে উপজেলা পরিষদ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফিরে গেলেন পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী) আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি।

চরম দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে শনিবার দুপুরে প্রশাসনের দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি ও সভা করতে আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদে আসেন জাতির পিতার ভাগে, মন্ত্রী পদমর্যাদায় পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক, বরিশাল-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।

মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ উপজেলা পরিষদে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতিমা আজরীণ তন্বীকে উপস্থিত না পেয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে কোন সভা না করেই উপজেলা পরিষদের নীচতলা থেকে ফিরে আসেন।

এসময় মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লিটন, উপজেলা প্রকৌশলী রাজ কুমার গাইন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহসান হাবিব, গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আব্দুর রব হাওলাদার, আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন, গৌরনদী থানার ওসি সরোয়ার, বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাস, গৈলা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল হোনে টিটুসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

উপজেলা পরিষদ থেকে ফিরে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে দূর্যোগ প্রস্ততির সভা করেন। সভায় ঘুর্নিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহন করে দূর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে দলীয় নেতা কর্মীদের নির্দেশ দেন এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। এসময় তিনি নেতা কর্মীদের কাছে দূর্যোগ প্রস্তুতির সর্বশেষ খোজ খবর নিয়ে শুকনো খাবার মজুদ করার নির্দেশ দেন।

দূর্যোগের সময় স্টেশনে উপস্থিত না থাকতে পারার বিষয়ে ইউএনও বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, তিনি ৩ নভেম্বর থেকে ১৫ দিনের শ্রান্তি বিনোদন ছুটিতে শরনখোলায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বাড়িতে থেকেও তিনি চেয়ারম্যান, কর্মকর্তাসহ সকলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।

তিনি আরও বলেন, তার বাড়ি দুর্যোগ প্রবণ এলাকা হওয়া সত্বেও ঘুর্নিঝর বুলবুল মোকাবেলায় তিনি শনিবার বাড়ি থেকে নিজ কর্মস্থলে আসছিলেন। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় উপজেলা পরিষদে অবস্থান কালীন সময়ে তিনি আগৈলঝাড়ায় আসার জন্য বরিশাল সদর পর্যন্ত অবস্থান করছিলেন। আগৈলঝাড়া এসেই তিনি মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে দেখা করে সকল প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। তার অনুপস্থিতিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় এসিল্যান্ড দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি সভা করেছেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতিমা আজরীণ তন্বী (এসিল্যান্ড) বলেন, মন্ত্রী মহোদয় উপজেলা পরিষদে অবস্থান কালীন সময়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় তিনি কর্ম এলাকায় ছিলেন। ওই সময়ে তিনি জেলা পরিষদ ডাক বাংলোয় অবস্থান করে খাবার খাচ্ছিলেন।

(টিবি/এসপি/নভেম্বর ০৯, ২০১৯)