উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : মুক্তিবাহিনী ৮নং সেক্টরের আলীপুর নামক স্থানে পাকসোনদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৫ জন সৈন্য নিহত ও কয়েকজন আহত হয়।অপর দিকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

৮নং সেক্টরেরতেরাইল নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী রাজাকারদের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে ১৬ জন রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দী হয়। মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকারদের কাছ থেকে ১৬টি রাইফেল, ১১টি বেয়নেট এবং কিছু গোলাবারুদ দখল করে।

সিলেটে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের বড়লেখা ঘাঁটির ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ১৫ জন সৈন্য নিহত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধারা বিপুল পরিমান অস্ত্র শস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে।

৭নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কুড়িগ্রামের কাছে পাকসেনা বোঝাই একটি ট্রেনকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে মাইন বিস্ফোরণে পাকবাহিনী বোঝাই ট্রেনটির ৮টি বগি ধ্বংস এবং একজন অফিসারসহ ৮ জন পাকসেনা নিহত হয়। অপর এক ঘটনায় মুক্তিবাহিনী পাকসেনা বোঝাই একটি গাড়ীকে কুড়িগ্রাম থেকে চিলমারী যাবার পথে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে গাড়ীর ড্রাইভারসহ ৩ জন পাকসৈন্য ও ৩ জন রাজাকার নিহত হয়।

২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ১০ম বেঙ্গলের দুই কোম্পানি যোদ্ধা সকাল ১০টায় পাকবাহিণীর দক্ষিণ চিতলিয়া অবস্থানের ওপর গোলন্দাজ বাহিনীর সহায়তায় ব্যাপক আক্রমণ চালায় । ৩ ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা চিতলিয়া থেকে পালিয়ে মুন্সীহাটের দক্ষিণে ও পাঠান নগরের কাছে অবস্থান নেয় এবং মূল ঘাঁটি ফেনীতে পিছিয়ে নেয়। এই যুদ্ধে পাকসেনাদেও ব্যাপক ক্ষতি হয় ও চিতলিয়া রেল স্টেশন ধ্বংস হয় এবং মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র, অয়্যারলেস সেট, রেশন দখল করে। অপরদিকে ৫জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও ১৩ জন আহত হন।

রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর ৮০ জন দুর্বৃত্ত সাদা পোশাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ওপর হামলা চালায়। এক ঘন্টারও বেশি সময় হলে অবস্থানকালে দুর্বৃত্তরা সময় হলে অবস্থানকালে দুর্বৃত্তরা ছাত্রী ও শিক্ষয়িত্রীদের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে এবং তাদের ওপর নির্যাতন চালায়। এ সময় হলের সামনের রাস্তায় সামরিক ভ্যান ও জীপ টহল দেয়।

পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর সহকারী ্রপধান মওলানা আবদুর রহিম পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ডা. মালিকের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি গভর্নরকে পূর্ণ নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে শান্তি ও স্বাভাবিক অবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং পাকিস্তানের অখন্ডতা ও সংহতি রক্ষার উদ্দেশ্যে যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে জনসাধারণ সরকারের পাশে থাকবে।

লেঃ জেনারেল নিয়াজী ফেনী, বেলোনিয়া ও চট্টগ্রাম এলাকা সফর করে হানাদার বাহিন কে আরো সক্রিয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের মোকাবেলার নির্দেশ দেন।

পিডিপি নেতা নুুরুল আমিন পশ্চিম পাকিস্তানের লায়ালপুরে আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, নির্বাচনে বিজয়ের পরে বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতারা বর্বরোচিত কার্যকলাপ শুরু করলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হয়। সেনাবাহিনী বিদ্রোহ দমনে এগিয়ে এলে আওয়ামী নেতারা ভারতে গিয়ে নতুন কৌশলে হামলা শুরু করে।

তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/এএস/ পিএস/অ/নভেম্বর ১০, ২০১৯)