স্টাফ রিপোর্টার : ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ার বেশ কিছুদিন থেকে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় বিকল্প উৎস মিয়ানমার, মিসর, চীন ও তুরস্ক থেকে থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এমনকি ব্যবসায়ীরা যদি চায় পাকিস্তান থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করতে পারে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ইতোমধ্যে মিয়ানমার, মিসর, চীন ও তুরস্ক থেকে বেশ কিছু পেঁয়াজ আমদানিও করা হয়েছে।

এদিকে পাকিস্তানের একটি ইংরেজি দৈনিক খবর প্রকাশ করেছে যে, অন্তত ১৫ বছর পর পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে বাংলাদেশ। ট্রেড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব পাকিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়েছে বাংলাদেশের তাসো এন্টারপ্রাইজ করাচির রোশান এন্টারপ্রাইজের নিকট থেকে ৩০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে কখনোই নিষেধাজ্ঞা ছিল না। বরং দাম বেশি ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ বাংলাদেশে কম চলে তাই ব্যবসায়ীরা পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে আগ্রহী নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব দেশের বাইরে থাকায় দায়িত্বরত সচিব মো. ওবায়দুল আজম বলেন, পেঁয়াজ আমদানি যে কেউ যেকোনো দেশ থেকে করতে পারে। আমরা সুনির্দিষ্ট কোনো দেশের কথা বলে দেইনি। পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে আমরা কোনো দেশের নাম সুনির্দিষ্ট করে দেইনি।

তাহলে যদি ব্যাবসায়ীরা পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে চায় সেটা কি তারা পারবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটাতে কোনো বাধা নেই। আমদানি নীতি অনুযায়ী যে দেশ থেকে আনতে চায় আনবে।

এ বিষয়ে শ্যামাবাজার আড়তদার সমিতির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, অনেক দিন আগে একবার পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছিল। তারপর আর আমদানি করা হয় না। কারণ দামও বেশি এবং পাকিস্তানি পেঁয়াজটা বাংলাদেশে ভালো চলে না।

উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে। বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে। পাশাপাশি মিসর ও তুরস্ক থেকেও এলসির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। সম্প্রতি মিয়ানমারও পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি করেছে। ফলে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১০, ২০১৯)