অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) : ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’র প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগরে এপর্যন্ত  তিনটি ট্রলার নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে।

এদের মধ্যে বরগুনার নলি এলাকার এফ.বি(ফিসিংবোর্ড) তরিকুল ১৫ জেলে সহ নিখোঁজ রয়েছে বলে জেলা ট্রলার মালিকসূত্রে জানাগেছে।

মাছধরা এই ট্রলার ৩টিতে অন্তত অর্ধশত জেলে ছিলেন বলে জানা যায়। গত পাঁচ দিন আগে ওই ট্রলার তিনটি নিয়ে জেলেরা বঙ্গোপসাগরে ইলিশ শিকারে গিয়েছিলেন। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা আর তিরে ফিরে আসেননি।
ওই জেলে ও তিনটি ট্রলার কোথায় কি অবস্থায় আছে তা বলতে পারছেন না জেলে পরিবার অথবা ট্রলার মালিক পক্ষের কেউ-ই। ধারনা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল‘এর তান্ডবে সমুদ্রপৃষ্ঠেই সলিল সমাধি ঘটেছে তাদের।

বরগুনা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা চৌধুরী সোমবার ভোরের কাগজকে জানান, নিখোঁজ ট্রলারগুলোর মধ্যে দুটি কলাপাড়ার ও অন্যটি বরগুনা সদর উপজেলার। এর মধ্যে বরগুনা সদরের এফবি তরিকুল নামের ট্রলারটি ১৫ জন জেলে নিয়ে গত মঙ্গলবার সাগরে গিয়েছিল। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ট্রলারে থাকা সবাই বরগুনা সদর ও বামনা উপজেলার বাসিন্ধা বলেও জানান তিনি।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উত্তাল সাগরে ট্রলার ডুবে যেতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা করছিলেন বরগুনা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি।

কলাপাড়া উপজেলার মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, এফবি ফেরদৌস খান ও এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের প্রত্যেকটিতে ১৮ জন করে জেলে ছিলেন। ঘূর্ণিঝড়ের আগে থেকে এই দুটি ট্রলারও নিখোঁজ। সাগর উত্তাল থাকায় তাদের সন্ধানে অন্য ট্রলার পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে জেলা মৎস্যট্রলার শ্রমিক সমিতির সভাপতি মান্নান মাঝি ভোরের কাগজ প্রতিনিধিকে জানান,পাথরঘাটা উপজেলার কোনো ট্রলার নিখোঁজ না থাকলেও বরগুনা জেলা এবং অন্যান্য এলাকার বেশক'টি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে বলে আমি শুনেছি।

(এটি/এসপি/নভেম্বর ১১, ২০১৯)