স্টাফ রিপোর্টার : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের আওতাধীন ১৫টি চিনিকলের মধ্যে অধিকাংশের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এসব চিনিকল পর্যায়ক্রমে সুষমকরণ, আধুনিকীকরণ ও প্রতিস্থাপন (বিএমআর) প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। বর্তমানে বিএমআর অব কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বিডি লিমিটেডের (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটি বাস্তবায়নধীন।

সোমবার জাতীয় সংসদে শফিকুল ইসলাম শিমুলের (নাটোর-২) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, সারা বছর চিনিকল চালু রাখার লক্ষ্যে ও মৌসুমি ‘র’ সুগার আমদানিপূর্বক হোয়াইট সুগার উৎপাদনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নাটোর জেলায় অবস্থিত নর্থ বেঙ্গল চিনিকলে কো-জেনারেশন পদ্ধতিতে অমৌসুমে বিদ্যুৎ ও হোয়াইট সুগার উৎপাদনের জন্য একটি প্রকল্প বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন। কলেবর বৃদ্ধি করে চিনিকলের উপজাত ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকল্পটিকে ডিস্টিলারি বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর কারখানার চিনি আহরণ বৃদ্ধি পাবে, চিনির গুণগতমান বৃদ্ধি পাবে, চিনি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে এবং উপজাতভিত্তিক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে চিনিকলের আয় বৃদ্ধি পাবে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে সুগার বিট হতে চিনি উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় উৎপাদিত সুগারবিট হতে পরীক্ষামূলকভাবে চিনি উৎপাদনে যান্ত্রিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ‘ঠাকুরগাঁও চিনিকলের পুরাতন যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন এবং সুগার বিট থেকে চিনি উৎপাদনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংযোজন (১ম সংশোধিত) শীর্ষক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হচ্ছে। এছাড়া কলেবর বৃদ্ধি করে কো-জেনারেশন পদ্ধতিতে ও অমৌসুমীর বিদ্যুৎ ও আমদানিকৃত হোয়াইট সুগার উৎপাদন এবং চিনিকলের উপজাত ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকল্পটিতে ডিস্টিলারি বায়োগ্যাস ও বায়ো কম্পোস্ট অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদিত হয়েছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর কারখানার চিনি আহরণ হার বৃদ্ধি পাবে, চিনির গুণগতমান বৃদ্ধি পাবে, চিনি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং উপজাত ভিত্তিক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে চিনিকলটি আয় বৃদ্ধি পাবে। চৌদ্দটি চিনিকলে বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। যা বাস্তবায়িত হলে মিলজোন এলাকা পরিবেশবান্ধব হবে। আয় বৃদ্ধির জন্য চিনিকল সমূহের উপজাত প্রেসমাড এবং ডিস্ট্রিলারি উপজাত স্টেন্টওয়াস ব্যবহার করে কেরু এন্ড কোম্পানি উপজাতভিত্তিক বায়োফার্টিলাইজার প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বায়োফার্টিলাইজার উৎপাদন ও বিপণন চলমান।

এছাড়াও ২০১৯-২০ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দবিহীন অনুমোদিত প্রকল্প হিসেবে দু'টি প্রকল্প হিসেবে প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা আছে। এগুলোর ১৩টি চিনিকলে পুরাতন সেন্টিফিউগাল মেশিন, জুস ক্লারিফায়ার এবং রোটারি ভ্যাকুয়াম ফিল্টার এর জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন। রাজশাহী চিনিকলে ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বোতলজাতকরণ এবং পাল্প প্ল্যান্ট স্থাপন। ৫টি চিনিকলে সুগার রিফাইনারি স্থাপন শীর্ষক ৩টি প্রকল্প সবুজ পাতায় অন্তর্ভুক্ত আছে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১১, ২০১৯)