উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে মফস্বলের সাংবাদিকরা লিখনের মধ্য দিয়ে মাদক, জঙ্গিবাদ বিরোধী সহ সকল সেক্টরের অনিয়ম বিরোধী সংবাদ পরিবেশন করতে মফস্বল সাংবাদিকদের বিকল্প নেই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে অথচ নিজেদের নিরাপত্তা নেই। সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় যুগোপযোগি আইন প্রণয়ন করতে হবে। 

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কুড়িগ্রাম শাখার আয়োজনে সোমবার সকাল ১১ টায় জেলা শহরের আলমাস কমিউনিটি সেন্টারে মফস্বল সাংবাদিকদের সমাবেশে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সরকারের উন্নয়নে কাজে সংবাদ পরিবেশনে মফস্বল সাংবাদিকদের ভূমিকা ব্যাপক।

ঢাকা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র টিভি চ্যানেল সহ সকল সংস্থাকেই বলা হয় জাতীয় মিডিয়া।
জেলা থেকে প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমকে বলা হয় স্থানীয় মিডিয়া।

জাতীয় ও স্থানীয় মিডিয়াতে জেলা-উপজেলায় স্থায়ীভাবে থেকে প্রতিনিধিত্ব করে সংবাদ পরিবেশন করেন তারাই মফস্বল সাংবাদিক। ইউনিয়ন পরিষদ ও জাতীয় নির্বাচনেও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় তাদের।

নার্সিং কাউন্সিল নার্সদের রেজিস্ট্রেশন ও তালিকা রয়েছে। বার কাউন্সিলে লাইসেন্স বা তালিকা রয়েছে। বাংলাদেশের সকল কাউন্সিল গুলোতে পেশাদারিত্বের রেজিস্ট্রেশন তালিকা থাকার নিয়ম থাকলেও বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদপ্তর ও প্রেস কাউন্সিল থাকলেও স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পেশাদার সাংবাদিকদের লাইসেন্স বা তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি। ২০১৩ সাল থেকে এসব দাবি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম তুলে ধরেছে।

দেশের সকলেই জানে সাংবাদিকদের জাতীয় প্রেসক্লাব রয়েছে। তবে জানেন না ঢাকা কেন্দ্রিক প্রেসক্লাবটির সাথে জেলা-উপজেলার কোন সাংবাদিকদের সম্পৃক্ততা নেই।

স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে একবার মফস্বল সাংবাদিকরা যুদ্ধ করছে বারবার।
প্রতিদিন সূর্য উদয় থেকে শুরু করে সাংবাদিকদের বের হয়ে খরা বন্যা ঝড় জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলা করে কলম যোদ্ধা সাংবাদিক। এই যুদ্ধ হলো গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আত্মমানবতার, শিক্ষার উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন, দেশের উন্নয়ন পদ্মার পাড়ের মানুষের সুখ-দুঃখ, অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর লক্ষ্যে লেখনীর মধ্য দিয়ে অধিকার আদায়ের যুদ্ধ করে সাংবাদিক গন।

দূর্নীতি-অনিয়ম মাদকবিরোধী সংগ্রামে যুক্ত হতে হয় সাংবাদিকদের। মাদক বিরোধী, জঙ্গিবাদ বিরোধী, অনিয়ম দুর্নীতি বিরোধী সংবাদ তুলতে গিয়ে দেশে সাংবাদিকরা হামলা মামলা ও হত্যাকাণ্ড সহ বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। এ পর্যন্ত দেশে প্রায় ৩৮ জন সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। অগণিত সাংবাদিক হামলা মামলা সহ বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়ে চলছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে।

মফস্বল সাংবাদিকদের ব্যাথা মফস্বল সাংবাদিক বুঝে। মফস্বল সাংবাদিকদের দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। মফস্বল সাংবাদিক দেরকে এক করতেই আজকে এই বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম। মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কাউন্সিল এর মধ্য দিয়ে দেশের জেলা-উপজেলায় মফস্বল সাংবাদিকদের সংগঠিত করা হচ্ছে। মফস্বল সাংবাদিকদের ঐক্যের ভিত্তিতেই এই ১৪ দফা দাবি আদায় সম্ভব।

নেতৃবৃন্দ বলেন, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ব্যানারে ১৪ দফা দাবি যৌক্তিক দাবি। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সুযোগ্য প্রধানমন্ত্রী ও মানবতাময়ী। মফস্বল সাংবাদিকদের দিকে তাকাবে এবং দাবি পূরণ করবেন বলে আমারা বিশ্বাস করি। ১৪ দফা দাবি দেশের সকল সাংবাদিকদের প্রাণেল দাবিতে আজ পরিনত হয়েছে।

কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলুর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ আবু জাফর।

বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ সরোয়ারদি বাপ্পি, জেলা তথ্য অফিসার শাহজাহান আলী, সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহাবুদ্দিন। সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুল খালেক ফারুকী, লাইলি আক্তার, সোহেল আহমেদ, হাফিজুর রহমান বাবু, রফিকুল ইসলাম ও নূরুল আমিন প্রমুখ। কাউন্সিলে আবু জাফর সোহেল রানাকে সভাপতি ও আলমগীর হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ৩১ সদস্য বিশিস্ট কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর। কমিটি ঘোষনাকালে তিনি সকল সাংবাদিককে ঐক্যবদ্ধভাবে ১৪ দফা দাবি আদায়ে কাজ করার আহবান জানান।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১১, ২০১৯)