কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের মোট ৪৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ১৫ জন প্রভাষক ছিলেন। তাদেরকে একসঙ্গে বদলি করা হয়েছে। কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না করে এই পদক্ষেপ নেওয়ায় কলেজটির পাঠদান ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।

আজ সোমবার থেকে ঈদের ছুটি শেষে কলেজে ক্লাস শুরু হচ্ছে। এর আগে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য বিভাগের খুলনা বিভাগীয় পরিচালকের এক চিঠিতে ১৫ জন প্রভাষককে (চিকিৎসক) বিভিন্ন জেলায় বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে তিন দিনের মধ্যে সবাইকে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের কথা বলা হয়।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ইফতেখার মাহমুদ জানান, মেডিকেল কলেজে প্রভাষকেরাই প্রাণ। তাঁরা শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভিত তৈরি করেন। একযোগে সব প্রভাষক বদলি হওয়ায় পাঠদান ব্যবস্থায় এর প্রভাব পড়বে।
মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি অধ্যক্ষসহ ১১ জন শিক্ষক নিয়ে কলেজটি চালু হয়। পরের দুই বছরে পর্যায়ক্রমে যোগ দেন আরও ৩৩ জন। সব মিলিয়ে ৪৫ জন শিক্ষকের মধ্যে প্রভাষক ছিলেন ১৫ জন।। তবে অধ্যাপক-প্রভাষকসহ সবাই এখানে প্রেষণে শিক্ষকতা করেন। কলেজে বর্তমানে তিনটি শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী রয়েছে।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক, হাতে-কলমে শিক্ষা, ছোট ছোট টিউটোরিয়াল ও মৌখিক পরীক্ষাসহ নানা বিষয়ে পাঠদান করে থাকেন মূলত প্রভাষকেরাই। তাই হঠাৎ করে কলেজ প্রভাষকশূন্য হয়ে পড়ায় সবাই বেশ উদ্বিগ্ন।
কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মীর মাহফুজুল হক চৌধুরী জানান, দু-একজন করে বদলি হলে তেমন কোনো প্রভাব পড়ত না। একযোগে সব প্রভাষক বদলি হওয়ায় অনেক সমস্যায় পড়তে হবে।
কলেজের ছাত্রী শারমিন বিনতে ইউসুফ জানান, ‘অধ্যাপক স্যাররা সপ্তাহে এক দিন ক্লাস নেন। কিন্তু প্রভাষকদের সব সময় কাছে পাওয়া যায়। তাঁদের কাছ থেকে ব্যবহারিকসহ সব ধরনের সহযোগিতা পাই। কাজেই সব প্রভাষক চলে গেলে সমস্যার অন্ত থাকবে না। অবিলম্বে প্রভাষকদের বদলি বাতিল করে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
(কেকে/এএস/আগস্ট ০৪, ২০১৪)