নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাটে রাস্তা পাকাকরণে নিম্নমানের ইট-খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিবাদে এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে। অবশেষে নিম্নমানের খোয়া অপসারণের জন্য ঠিকাদার বরাবর চিঠি দিয়েছে ধামইরহাট এলজিইডির প্রকৌশলী মোঃ আলী হোসেন।

জানা গেছে, এ রাস্তা দিয়ে এলাকার সর্ববৃহৎ ধামইরহাটের হাট ও আশপাশের গ্রামেরসহ পার্শ্ববতী পত্নীতলা, মহাদেবপুর, বদলগাছি ও সাপাহার উপজেলার হাজার হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করে। রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলার ধামইরহাট-বিহারীনগর জিসি রোডের ২হাজার ৭০ মিটার মেরামত ও পাকাকরণ কাজের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কাজটি পায় রাজশাহীর ঠিকাদার মেসার্স লিটন এন্টারপ্রাইজ। এ রাস্তা মেরামত এবং পাকাকরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। কিন্তু কাজটি নওগাঁর ঠিকাদার মোঃ খলিলুর রহমান কিনে নেন। বর্তমানে তিনি এ কাজটি করছেন।

রাস্তার অনেক জায়গায় নি¤œমানের ইটের খোয়া বিছানো হয়েছে। এব্যাপারে ধামইরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদিরুল হক মুক্তা বলেন, অনেক নি¤œমানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। এ ধরণের কাজ করলে রাস্তাটি কিছুদিনের মধ্যে আবারও চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়বে। তিনি তদারকি সংস্থাকে বিষয়টি গুরুত্ব দেয়ার জন্য জোর দাবী জানান। তালঝাড়ী গ্রামের আজিজুল হক বলেন, তার দোকানের সামনে দিয়ে এ রাস্তা চলে গেছে। পা দিয়ে ডলা দিলে রাস্তায় বিছানো ইটের খোয়াগুলো গুড়া হয়ে যাচ্ছে। এরকম ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে তার দোকানের সামনে।

একই গ্রামের গোপাল শীল বলেন, নিম্নমানের খায়া রাস্তায় বিছানো হয়েছে। সেগুলো না তোলা পর্যন্ত আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখব। তালঝাড়ী আদিবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বাচ্চু বলেন, সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণ করলেও নি¤œমানের কাজের কারণে জনগনের কোন উপকারে আসবে না। এব্যাপারে সাব ঠিকাদার নওগাঁর খলিলুর রহমান বলেন, নিম্নমানের ইটের খোয়াগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স লিটন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ লিটন বলেন, যদিও কাজটি তিনি অন্যকে দিয়েছেন। তারপরও তার লাইন্সেসে কাজটি হচ্ছে। কাজে অনিয়ম হচ্ছে এ বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোজঁ খবর নিয়ে যদি কোন অনিয়ম হয়, তা সঙ্গে সঙ্গে শুধরে নেয়া হবে। কাজের মান খারাপ করা যাবে না। এককথায় তার লাইন্সেসে তিনি কোন দাগ লাগাতে চান না।

ধামইরহাটের প্রকৌশলী মো আলী হোসেন বলেন, স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি রাস্তাটি সরজমিনে পরিদর্শন করেন। এতে কোন কোন জায়গায় নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। নিম্নমানের ইটের খোয়া অপসারণের জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দিয়েছেন। তাছাড়া খোয়া করার জন্য নিম্নমানের যেসব ইট মজুদ রাখা হয়েছিল সেগুলো সরানো জন্য পত্র দেয়া হয়েছে। বিষয়টি এলজিইডির উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

(বিএম/এসপি/নভেম্বর ১৩, ২০১৯)