চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে অপারেশন টেবিলে রোগীকে ফেলে রেখে সেলাই না করেই পালানো, ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিকের অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।

কথিত সার্জন, সহকারি ও ক্লিনিক মালিককে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মৃত প্রসূতি তাছলিমা খাতুনের বাবা মজনুর রহমান মজনু বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

বুধবার সকালে কথিত সার্জন নাটোরের বনপাড়া এলাকার সাদ্দাম হোসেন এবং তার সহকারি আসাদুজ্জামানকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করে তাদের আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাটমোহর পৌর শহরের পুরাতন বাজার (নারিকেলপাড়া) এলাকায় ‘চাটমোহর ইসলামিক হাসপাতাল’ নামে ওই ক্লিনিকে তাছলিমা খাতুনের সিজারিয়ান অপারেশনের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে অপারেশন টেবিলে রোগীকে সেলাই না করে পালানোর সময় কথিত ডাক্তার সাদ্দাম হোসেন নিরব এবং সহকারি আসাদুজ্জামান নান্নুকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা। এদিকে সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় ক্লিনিক মালিক আমির হোসেন বাবলু।

পরে শঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তাছলিমা খাতুনকে রাতেই পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথড় গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী এবং একই গ্রামের মজনুর রহমান মজনুর মেয়ে।

মঙ্গলবার পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত প্রসূতির ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ নিজ গ্রামে আসে। রাত ৮ টায় জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।

চাটমোহর থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন জানান, তাছলিমা খাতুনের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে বুধবার অভিযুক্ত দুই জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ক্লিনিক মালিক বাবলুকে ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত আছে।

(এস/এসপি/নভেম্বর ১৩, ২০১৯)