সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া  (নেত্রকোণা) : বাংলা সাহিত্যের কলম জাদুকর নন্দিত কথা সাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদের স্বপ্ন পূরণ হল তার হাতে গড়া জন্মস্থান কুতুবপুর গ্রামের শহীদ স্মৃতির বিদ্যাপীঠ এমপিও ভূক্তির মধ্য দিয়ে। 

১৯৯৬ সালে ১২ জানুয়ারি শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। হুমায়ুন আহমেদের ৭১ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞান মনস্ক লেখক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল তার পরিবারের পক্ষ থেকে হুমায়ুন আহমেদের স্বপ্নের স্কুল এমপিও ভূক্ত করায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এই অনুষ্ঠানের ড. জাফর ইকবাল বলেন, শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ছাত্র ছাত্রীরা একসঙ্গে লেখাপড়া, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা করে বড় হচ্ছে। অনুষ্ঠানের সভাপতি হুমায়ুন পত্নী স্থপতি মেহের আফরোজ শাওন বলেন, হুমায়ুন আহমেদের স্বপ্ন ছিল,গ্রামের পিছিয়ে পড়া ছেলে মেয়েদেরকে বিজ্ঞান মনস্ক ও মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলা। এ স্বপ্ন পূরন হতে যাচ্ছে ।

তিনি দাবি করে বলেন, শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ একদিন কলেজে রুপান্তরিত হবে এমনকি কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজও হবে। সেজন্য তিনি দেশের সকলের কাছে আবেদন রাখেন।

সিটিজেন গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী বলেন, শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ এমপিও ভূক্তির আগে এমপি অসীম কুমার উকিল আমাকে বলেছিলেন নেত্রকোণা জেলায় একটি বিদ্যালয় এমপিও ভূক্তি হলেও শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ এমপিও ভূক্তি হবে। অসীম উকিল তার অসীম প্রচেষ্টার মাধ্যমে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ এমপিও ভূক্তি করেছেন। তিনি এ বিদ্যালয়ের আরও উন্নয়ন করবেন।

এ প্রসঙ্গে এমপি অসীম কুমার উকিল তার বক্তব্যে বলেন, হুমায়ুন আহমেদের স্বপ্ন ছিল স্কুলটি এমপিও ভূক্তির। আমি এর সার্বিক উন্নয়নের দায়িত্ব আমার কাধে তুরে নিলাম।

রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাট্যকার এস,এম ইকবাল রুমি বলেন, রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের ঐতিহ্যকে আরো সুষমা মন্ডিত করেছে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ। প্রতিবছর জে,এস,সি ও এস,এস,সি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ করে ভাল ফলাফল অর্জন করছে।

শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের আনন্দের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এই বিদ্যালয়টি এমপিও ভূক্তির মাধ্যমে হুমায়ুন আহমেদ স্যারের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রতি বছর কৃতি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে ভর্তি হচ্ছে। ছাত্র ছাত্রীরা লেখা পড়ার পাশাপাশি বিজ্ঞান মনস্ক ও মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা চেতনা এগিয়ে যাচ্ছে।

(এসবি/এসপি/নভেম্বর ১৩, ২০১৯)