মাগুরা প্রতিনিধি : মাদক মামলার বিচার নিশ্চিত করতে মাদকের সুনির্দিষ্ট পরিমাণ, সাক্ষীদের নাম ঠিকানা, জব্দ তালিকায় দখলদারের সুনির্দিষ্ট তথ্য উল্লেখ থাকা জরুরী।

কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, মামলায় মাদকের পরিমাণে আনুমানিক শব্দ যুক্ত থাকে। সাক্ষীদের যে নাম দেয়া হয় তা অনেক সময় মেলে না। এমনকি জব্দ তালিকায় কার কিম্বা কাদের দখল থেকে মাদক উদ্ধার হলো সেটি সুনির্দিষ্ট ভাবে থাকে না। শুধুমাত্র আসামীদের দখল থেকে উদ্ধার হয়েছে উল্লেখ থাকে। মাদকের মামলা রুজুর এ অসংগতির পাশাপাশি নালিশী মামলার এজহারে শিশুর বয়স সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকে না। যে কারণে তাকে শিশু আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয় না। এ ধরণের নানা বিষয় উঠে এসেছে আজ শনিবার মাগুরার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত পুলিশ ম্যাজিষ্ট্রেসী সমন্বয় সভায়।

মাগুরার বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. কামরুল হাসান।

বক্তব্য রাখেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বুলবুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হাসিবুল হোসেন লাবু, সিভিল সার্জন ডা. প্রদীপ কুমার সাহা, পুলিশ সুপার খান মুহম্মদ রেজোয়ান, সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা.স্বপন কুমার কুন্ডু, জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জেসমিন নাহার, পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট কাজী এস্কেন্দার আজম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সাজিদুর রহমান সংগ্রাম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম, শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুর রহমান, মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারক বিশ্বাস, শালিখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরীকুল ইসলাম, ডিবি পুলিশ ইন্সপেক্টর নাসির উদ্দিন, সিআইডি ইন্সপেক্টর বশির উদ্দিন, আদালত পুলিশ পরিদর্শক শাহাজাহান সিরাজ প্রমুখ।

সভায় প্রধান অতিথি বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. কামরুল হাসান ফৌজদারী মামলা রুজুর তিন দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে মেডিকেল অফিসারের কাছে এ সংক্রান্ত ডাক্তারী সনদ চাওয়া ও পরবর্তি পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে আদালতে তা জমা দেয়া নির্দেশনা দেন। প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দ্রুত ও যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের সাথে পুলিশ, চিকিৎসা বিভাগের যথাযথ সমন্বয়ের গুরুত্ব দেন। তিনি ফৌজদারী মামলার চার্জশীটে সাক্ষী, বাদী, তদন্তকারী কর্মকর্তা, চিকিৎসকের মোবাইল ফোন নম্বর উল্লেখের নির্দেশনা দেন।

সভায় মামলার কপি আদালতে প্রেরণের সময় সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক কেস ডকেট (সিডি) সংযুক্ত করা, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক খুনের মামলার ১৫দিনের মধ্যে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন, গ্রেপ্তারী পোরয়ানা ও সাক্ষীদের হাজিরা দ্রুত নিশ্চিত করা, মামলার রায়ে আলামতের বিষয়ে নির্দেশনা থাকাসহ নানা সুপারিশ ওঠে আসে।

(ডিসি/এসপি/নভেম্বর ১৬, ২০১৯)