রংপুর প্রতিনিধি : বাংলাদেশে অপরিণত শিশুর জন্ম হার আগের তুলনায় বেড়ে গেছে এবং সংখ্যার বিচারে বেশি সংখ্যক অপরিণত শিশু জন্ম হয় এমন ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। 

এই ১০টি দেশে শতকরা ৬০ ভাগ অপরিণত শিশু জন্ম গ্রহণ করে। প্রতি বছর সারাবিশ্বে এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ অপরিণত শিশু জন্ম গ্রহণ করে অর্থাৎ প্রায় প্রতি দশ জনে একজন অপরিণত শিশু জন্ম নেয়। এর মধ্যে এক লক্ষশিশু জন্মের পর পরই মৃত্যুবরণ করে। সারাবিশ্বে ১৭ই নভেম্বর অপরিণত শিশু দিবস পালিত হওয়ার প্রাক্কালে শনিবার দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই চিত্র তুলে ধরেন বেসরকারি সংস্থা ল্যাম্ব কর্মকর্তাগণ।

এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘সময়ের আগেই জন্ম গ্রহণঃ সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে সঠিক সেবা প্রদান’। সংবাদ সম্মেলনে রংপুর সিভিল সার্জন ডাঃ হিরম্বর কুমার রায়, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনি এন্ড অবস্ বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ কামরুন নাহার জুঁই, ডাঃ মরিয়ম বেগম, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মোঃ মোজাম্মেল হক, প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এ প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা: আরিফিন অমল ইসলাম প্রমূখ। এ সময় এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে ধরেন সাংবাদিকগণ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নবজাতকসহ শিশু মৃত্যুর প্রধান কারণ অপরিণত শিশু জন্মের জটিলতা। বাংলাদেশে শতকরা ৭৫ ভাগ নবজাতকের মৃত্যুর প্রধান তিনটি কারণ হল, অপরিণত শিশুজন্ম জনিত জটিলতা, গর্ভকালীন সময়ের জটিলতা যেমন-শ্বাসরুদ্ধতা এবং সংক্রমণ।

২০১৪ সালে বাংলাদেশে মোট শিশু জন্মের শতকরা ১৯ ভাগই ছিল অপরিণত শিশু। অপরিণত শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ করার জন্য বর্তমান সরকার অত্যন্ত সচেষ্ট। ক্যাংগারু মাদার কেয়ারসহ অপরিণত এই শিশু মৃত্যু হার কমানোর জন্য বর্তমানে সরকারী হাসপাতালগুলোতে উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

এ লক্ষ্যে বর্ন অব টাইম প্রকল্পটি প্লান ইন্টার ন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর কারিগরি সহায়তায় ল্যাম্ব রংপুর জেলার মিঠপুকুর, পীরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, গংগাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা এই ৬টি উপজেলায় ২০১৬ সাল কাজ করে যাচ্ছে।

(এম/এসপি/নভেম্বর ১৬, ২০১৯)