স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১ এর মাধ্যমে দেশের দুর্গম এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ১৪তম বাংলাদেশ ইন্টারনেট গর্ভন্যান্স ফোরামে (বিআইজিএফ) প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘ইন্টারনেট মানব সভ্যতার নতুন সুযোগ। ইন্টারনেটের সঙ্গে আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংকস), বিগডাটা, এআই (কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা) এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং সংযুক্ত হওয়ায় আগামী পাঁচ বছর পরের পৃথিবী হবে অবর্ণনীয়, অকল্পনীয়।’

তিনি বলেন, ইন্টারনেটের বিশাল সুযোগ কাজে লাগাতে এর ব্যবহারে সকলকে সচেতন হতে হবে। তিনি এ ব্যাপারে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই বা না চাই ইন্টারনেট সভ্যতা ভয়াবহ রূপে আবির্ভূত হবে। ইন্টারনেটের ইতিবাচক দিক আমাদের কাজে লাগাতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে ইন্টারনেটকে সাইড লাইনে রাখার সুযোগ নেই।’

গত এক দশকে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের প্রসার হয়েছে জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘২০০৮ সালে দেশে মাত্র আট লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করত, যা বর্তমানে প্রায় ১০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। সেই সময় দেশে মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করা হতো মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে এক হাজার ২৫০ জিবিপিএস।’

‘দেশের প্রায় চার হাজারেরও বেশি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া হয়েছে’ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এসওএফ (সামাজিক দায়বদ্ধতা) তহবিলের মাধ্যমে দেশের ৪০টি দ্বীপ, চরাঞ্চলসহ দুর্গম এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ১ এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া অধুনালুপ্ত ছিটমহলসহ ৭৭২টি দুর্গম এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর প্রথম স্তর অতিক্রম করবে। কিন্তু এটাই শেষ না। বাংলাদেশ দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্তর অতিক্রম করার প্রস্তুতি শুরু করেছে।

ইন্টারনেটের বিপদ মোকাবিলা-কে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে, যাদের দ্বারা আক্রান্ত হই তাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য। তবে সরকারের ফলপ্রসূ প্রচেষ্টার ফলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।’

ইন্টারনেটে বাংলা ভাষার উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। মাতৃভাষা নিয়ে আপস করার কোনো সুযোগ নেই।’

বিআইজিএফ সভাপতি ও তথ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার এর পলিসি অ্যান্ড কমিউনিটি বিষয়ক সিনিয়র অ্যাডভাইজার শ্রীনিবাস গাউদ চেন্দি ও আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১৬, ২০১৯)