রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : আনসার আল ইসলাম দলের খুলনা বিভাগীয় প্রধান একরামুল ইসলাম ওরফে আমীর হামজাকে র‌্যাব সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছে। 

শনিবার দুপুর ১২টায় ঢাকার কারোয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিং করে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত একরামুল ইসলাম সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুগিগোয়ালিনি ইউনিয়নের ভামিয়া গ্রামের জামায়াতের সক্রিয় কর্মী রুহুল আমিনের ছেলে। ঢাকার কারোয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে শনিবার দুপুরে এক প্রেস
ব্রিফিং এ র‌্যাব -৪ এর অতিরিক্তি ডিআইজি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, জঙ্গীরা দেশে কথিত ইসলামিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে গণতন্ত্র বাতিল চায়। তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে তাকে শাস্তির বিধান রয়েছে। এসব আক্রমনণে তারা আগ্নেয় অস্ত্রের পরিবর্তে চাপাতি ব্যবহার করে। সংগঠণের ভাষায় এ আক্রমণকে“ লোন উলফ এট্যাক” বলে। সম্প্রতি তারা লোন উলফ এ্যটাকের জন্য উত্তরায় মিলিত হওয়ার চেষ্টা করে। জানতে পেরে সাতক্ষীরার শ্যামনগরসহ ঢাকা ও বিভিন্ন স্থান থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়। এরা সকলে আনসার আল ইসলামের সদস্য।

তিনি জানান, একরামুল ইসলাম ওরফে আমীর হামজা (২১)ওরফে তৌহিত জনতার আর্তনাদ ওরফে সাব্বির। তার সাংগঠনিক নাম সুলতান মাহমুদ ওরফে রাজ। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় হাফিজিয়া শেষ করে জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়ে সে। অনলাইনে সে বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে সে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে। আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন ভিডিও, বইপত্র, মোবাইল এ্যপস সংগ্রহ করতো। সংগঠণ পরিচালনা ও ব্যয় বহনের জন্যপ্রতি মাসে চাঁদা দিত সে। সে ছয়টি ফেইসবুক পেজের এ্যডমিন।

বুড়িগোয়ালিনি ইউপি’র ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল গণি বলেন, রুহুল আমিন ও তার পরিবারের সদস্যরা সক্রিয় জামায়াত কর্মী ও সমর্থক।

জানতে চাইলে রুহুল আমিন বলেন, তার ছেলে একরামুল কোন জঙ্গী সংগঠণের সঙ্গে যুক্ত কিনা তিনি জানতেন না। গত বুধবার রাতে র‌্যাব পরিচয়ে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

(আরকে/এসপি/নভেম্বর ১৬, ২০১৯)