মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে নেত্রকোনার মদন উপজেলায় মদন গ্রামের সামনে দু’ফসলি জমি নষ্ট করে তৈরি হচ্ছে ইট ভাটা। নেত্রকোনার পৌর-সদরের শামছুল কবিরের ছেলে হুমায়ূন কবীর লিটন মদন মৌজার ৬৫১ নং দাগে ১ একর ৮৪ শতাংশ ফসলি জমিতে ইটের ভাটা তৈরি করার উদ্যেগ গ্রহণ করলে এরই প্রতিবাদে ওই হাওরের কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপি মাবনবন্ধন কর্মসূচি পালন করে ইট ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে কৃষি কর্মকর্তা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন। 

কার্যক্রম কয়েকদিন বন্ধ রেখে এলাকার লোকজনকে ম্যানেজ করে পূণরায় ইটভাটার হাউজ ও চিমনি নির্মানের কাজ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

ফসলি জমিতে ইটভাটা তৈরি হচ্ছে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন এর কার্যক্রম বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ করে দেন। সুচতুর ইটভাটার মালিক লিটন এ ঘটনার পর ইটভাটার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন স্থানে জোড়ালো ভাবে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে কৃষকরা এ প্রতিনিধিকে জানান।

এ হাওরের কৃষক সালাম, রফিক ও সাইদুল জানান, এলাকার তিনটি গ্রামের মানুষ এ হাওরের জমিতে দু-টি ফসল উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এখানে ইটভাটা গড়ে উঠলে ফসলের যেমন ক্ষতি হবে তেমনি পরিবেশের বিপর্যয়সহ শিশু সন্তানদের নিয়ে অভিভাবকগণ থাকবেন আতংকে। এ জন্য ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য এলাকাবসী নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের সড়কে মানববন্ধনসহ স্বারকলিপি প্রদান করেন। কৃষকদের রক্ষার্থে ফসলি জমিতে ইটভাটা বন্ধের জন্য সরকারের কাছে জোড় দাবি জানাচ্ছি।

ইটভাটা প্রস্তুতকারী হুমায়ুন কবির লিটন জানান, আমি এ হাওরে কতক জমি ক্রয় ও উচ্চ মূল্যে বন্ধক নিয়ে ইটভাটা তৈরির জন্য প্রায় কোটি টাকা খরচ বরেছি। ইটভাটার সমস্ত কাগজপত্র আমার চাচাতো ভাই আবুল কাশেমের নামে করার জন্য প্রস্তুতি চলছে। প্রশাসন কাজ বন্ধ রাখলেও কাগজপত্র পেলে এর কাজ শুরু করা হবে।

ইউএনও মোঃ ওয়ালীউল হাসান জানান,মদন মৌজায় ফসলি জমিতে ইটভাটর কাজ একেবারে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাগজপত্র ছাড়া কোনো ইটভাটা চলবে না।

(এএমএ/এসপি/নভেম্বর ১৭, ২০১৯)