স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর মগবাজারে আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে মৃত্যু হয় তার।

মৃতের নাম আসমা বেগম (৩০)। খবর পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতাল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠায়।

মৃতা আসমার মামাতো ভাই মেহেদী হাসান অভিযোগ করে বলেন, ‘গত সাত দিন আগে আসমা জানতে পারেন তার পেটের ভেতর বাচ্চা মারা গেছে। তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন বরিশালের চিকিৎসকরা। পরামর্শ অনুযায়ী গত রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরের দিকে তাকে মগবাজারে আদ্বদীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

তিনি আরও জানান, হাসপাতালে চিকিৎসকদের জানানো হয় পেটে বাচ্চা মারা গেছে। সিজার করতে হবে। চিকিৎসকরা তাদের জানান, আগে দেখবে নরমালে বাচ্চা হয় কি না। পরে সিজার করবে। আসমার অবস্থা খারাপ হলে গতকাল রাতে তাকে লেবার ওয়ার্ডে নেয়া হয়। সেখানে আসমা মৃত বাচ্চা প্রসব করলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

আসমার পরিবারের অভিযোগ, পেটে বাচ্চা মারা গেছে জেনেও তারা সিজার করেনি। আগে থেকে যদি সিজার করা হতো তাহলে আসমা মারা যেত না।

মেহেদী বলেন, ‘আমরা এর বিচার চাই। রমনা থানায় অভিযোগ দিয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

আসমার বাড়ি বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে। স্বামী আরিফ হোসেন গ্রামে ব্যবসা করেন। আসমার ঘরে তিন মেয়ে রয়েছে। তিন মেয়ের পরে কয়েকবার গর্ভপাত হয়েছে তার।

রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দুলাল চন্দ্র কুন্ড বলেন, ‘জানতে পেরেছি, সন্তান প্রসবের সময় আসমা ও তার নবজাতক মেয়ের মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ পেয়ে ভোরে হাসপাতাল থেকে নবজাতকসহ তার মায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১৯, ২০১৯)