মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার মদন উপজেলার বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারী বাজারে মঙ্গলবার ভোরে লবণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এমন “গুজব” ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা প্রশাসন পৌরসদরসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২ ব্যবসায়ীকে ৪ হাজার টাকা জরিমান করেছে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ওয়ালীউল হাসান। ওসি মোঃ রমিজুল হক কে সাথে নিয়ে বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি বাজারে গিয়ে অধিক মূল্যে লবণ বিক্রি না করার জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন ইউএনও।

মদন উপজেলায় পিঁয়াজের দর একটু নিয়ন্ত্রণে আসতে না আসতেই লবণের দাম নিয়ে চলছে ব্যাবসায়ীদের তেলেসমাতি। লবণের দাম বেড়েছে খবর শুনে হিড়িকে বিভিন্ন দোকানে ক্রেতারা সর্বনিম্ন ৫ কেজি ও সর্বোচ্চ ২০ কেজি করে লবণ ক্রয় করে নিচ্ছেন।

এরই প্রেক্ষিতে ওই দিন উপজেলা প্রশাসন পৌর সদরসহ উপজেলার সর্বত্র মাইকিং করে লবণের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি “গুজব” বলে জনগণকে সচেতন করছেন। মদন বাজারের সুশীল পালের দোকানে অধিক মূল্যে লবণ বিক্রি হচ্ছে অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশাসন তদন্ত করলে গতকালের চেয়ে বস্তা প্রতি ৫০ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে কিন্তু লবণের প্যাকেটের গায়ের মূল্যের অধিক নয়। তাই অতিরিক্ত টাকা ক্রেতাদের ফেরত দিতে বলেন প্রশাসন।এ সময় হাওরাঞ্চলের অনেক ক্রেতা লবণ কিনতে ভিড় ও অতিরিক্ত লবণ সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়লে উপজেলা প্রশাসন ব্যবসায়ীকে অতিরিক্ত লবণ বিক্রি করতে সতর্ক ও জনগণকে লবণেল দাম বাড়বে না বলে শান্তনা দেন।

সাহিতপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন, ফতেপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্বা গোলাম পারভেজ চৌধুরী, পৌরসদরের আল মাহবোব আলম জানান, লোক মুখে জানতে পেরেছি পিঁয়াজের মতো লবণের দামও বাড়বে। মদন পৌর সদরসহ উপজেলার সর্বত্র এক শ্রেনির অসাধু ব্যাবসায়ীরা গুজব ছড়িয়ে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। তাই আমরা ৫/১০ কেজি লবণ কিনে রেখেছি।

এ ব্যাপারে মদন থানার ওসি মোঃ রমিজুল হক জানান, লবণের কৃত্রিম সংকট ও অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করার দায়ে উপজেলার জাওলা বাজারে আরিফ ষ্টোরকে ৩ হাজার টাকা ও বাড়রী বাজারের মা কালী ষ্টোরকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এমন খবর গুজব বলে জানিয়েছেন মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়ালীউল হাসান। তিনি জনান, মঙ্গলবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ২ ব্যবসায়ীকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যদি কেহ এমন গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা করে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরো জানান, এ ধরণের গুজব বন্ধে প্রশাসন, সাংবাদিক ও সুশীলসমাজের লোকজন এগিয়ে আসতে হবে।

(এএমএ/এসপি/নভেম্বর ১৯, ২০১৯)