রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জাল দলিল রেজিস্ট্রি দায়ে ৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একটি চক্র জমির পর্চা, খাজনার দাখিলা ও ওয়ারিশান সনদ জাল করে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জমির পাওয়ার নামা দলিল সৃষ্টি করে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন।

চক্রটি ওই জাল দলিলের অজুহাতে জমিতে দখলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় টাঙ্গাইল জেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ শামস উদ্দিনের সহধর্মীণী তাসমুবা খানম বেলি (জমির প্রকৃত মালিক দাবিদার) বাদী হয়ে দলিল লেখক সহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে এক একর জমির পাওয়ার নামা দলিল তৈরি করা হয়েছে উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকার মমিন নগর মৌজায়।

এদিকে মির্জাপুর উপজেলা ভূমি অফিসকে ঘিরে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে জমির পর্চা, খাজনার দাখিলা ও ওয়ারিশান সনদসহ বিভিন্ন কাগজপত্র জাল তৈরি করে দলিল সৃষ্টি করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদরের আকুর টাকুর মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা শামস্ উদ্দিনের স্ত্রী তাসমুবা খানম বেলি তার অপর তিন বোন নাসরিন খানম এনি, ছালমা খানম মেরী ও তানিয়া খানম এলি পৈত্রিক সূত্রে মালিক হয়ে গোড়াই মমিননগর মৌজার সিএস ৫৩৫, এসএ ৯২৩ ডিপি ১৯৭১ পুরাতন ১৬৬৫, ২৯০৪, ২৯০৫, ২৯০৭, ২৯৬৫, ২৯০২ ও হাল ৮১১৩, ৫৩৬৮, ৪৩৬৯, ৪৩৭৬, ৪৩৭৮, ৪৩৮৫ নং দাগের ৪১২ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছেন।

এ মামলায় মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আসামীরা আত্মসমর্পন করলে আদালত আবু আহাদ খান পিন্টু, আজগর আলী, উথান খান, শহিদুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, জিয়াউর রহমান, মো. মজনু মিয়া, মোজাম্মেল হক, সোহেল রানাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।

(আরকেপি/এসপি/নভেম্বর ১৯, ২০১৯)