হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে যৌতুকের জন্য শিক্তা খাতুন (২০) নামে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ী কর্তৃক পিটিয়ে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

মঙ্গলবার রাতে উপজেলার নারায়নকান্দী গ্রামে এঘটনা ঘটে। নিহত শিক্তা ঐ গ্রামের মাসুদ রানার স্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া জেলার ই.বি. থানার রাধানগর গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে। এঘটনায় পুলিশ নিহতের শ্বশুর আইয়ুব হোসেনকে আটক করেছে।

মঙ্গলবার রাতে নিহতের পিতা রবিউল ইসলাম শিক্তার স্বামী মাসুদ রানা, শ্বশুর আইয়ুব হোসেন ও শাশুড়ী শাইমিনা খাতুন সহ ৪ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

নিহত শিক্তার বাবা রবিউল ইসলাম জানান, দু’বছর আগের তার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। বিয়ের সময় কোন দাবি দাওয়া না থাকলেও ১ মাস পর থেকেই যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করতো। মেয়ের সুখের জন্য তিনি ধারদেনা করে বেশকিছু আসবাবপত্র কিনে দিয়েছেন। তারপরও টাকার জন্য তার মেয়ের উপর তারা নির্যাতন করতো বলে তিনি জানান। প্রায় ৫মাস পূর্বে এনজিও থেকে ঋন নিয়ে মেয়ের জামাইকে ১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তার সুখের জন্য। মঙ্গলবার রাতে আবারও তার মেয়েকে যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন করে তার স্বামী ও শ্বশুর শাশুড়ী। তাদের অমানুষিক নির্যাতনে শিক্তার মৃত্যু হলে তাকে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। এসময় নিহত শিক্তা ৫ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ছিল বলে তিনি জানান।

এদিকে নিহতের প্রতিবেশিরা জানান, প্রায়ই শিক্তাকে নির্যাতন করতো তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ঘটনার দিনও তার উপর নির্যাতন করা হয়েছে বলে তারা জানান।

হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, নিহতের বাবা হত্যা মামলা দায়ের করেছেন, আসামী আইয়ুব আলীকে বুধবার ভোরে আটক করা হয়েছে। অন্যরা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

(এস/এসপি/নভেম্বর ২০, ২০১৯)