আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পেঁয়াজ ও লবণের বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। ভ্রাম্যমান আদালতে ব্যাবসায়িদের জরিমানা আদায়, ব্যবসায়িদের শতর্ক করেছে আদালত।

বুধবার দুপুরে পিয়াজ ও লবনের বাজার নিয়ন্ত্রনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিপুল চন্দ্র দাস উপজেলা সদর বাজারে পুলিশের সহায়তায় আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সদর বাজারের মুদি ব্যবসায়ি মিলন দত্তকে পাটের বস্তায় পন্য না রাখায় ১৫০০ টাকা, লামিয়া স্টোরের মালিক সালাম ফকিরকে ভোক্তা অধিকার আইনে ২০০০ টাকা, লাইসেন্স না থাকায় টিন ব্যবসায়ি গৌরাঙ্গ লাল বিশ্বাসকে ২০০০ টাকা ও খাদ্য সামগ্রী ঢেকে না রাখার কারণে ভোক্তা অধিকার আইনে মন্ডল মিষ্টান্ন ভান্ডারের প্রসেনজিত মন্ডল খোকনকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করেন।

এসময় আদালত খোলা বাজারে পিয়াজ ও লবনের স্থিতি বজায় রেখে নির্ধারিক মূল্যে বিক্রির নির্দেশ দিয়ে বলেন, দেশে লবনের কোন ঘাটতি নেই। একটি অসাধু চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করতে লবনের মূল্য বৃদ্ধির গুজব ছড়াচ্ছে।

একই আদালত পরে গৈলা বাজারের মুদি ব্যবসায়ি চৈতী ষ্টোরকে একত্রে বেশী লবন বিক্রির দায়ে ১০০০টাকা ও ভদ্র স্টোরের মালিক সমীর ভদ্রকে বস্তা বস্তা লবন বিক্রির মাধ্যমে এলাকায় গুজব ছড়ানোর জন্য ২০০০ টাকা জরিমান করেন। একই সাথে তাদের শতর্ক করে দেন আদালত। এদিন আদালত ১৩হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এর আগের দিন একই আদালত উপজেলার পয়সারহাট বন্দরে এই অভিযান পরিচালনা করেন।

এসময় পয়সারহাট বন্দরের মধু স্টোরের মালিক শাওন মধুকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও মেয়াদ উত্তীর্ন মালামাল রাখার দায়ে ১০ হাজার টাকা ও তারা মা ভান্ডারে মুল্য তালিকা না থাকায় মালিক জুরান হালদারকে ২ হাজার টাকাসহ মোট ১২ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করেন। দুদিনে আদালত ২৫হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করে আদায় করেন।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২০, ২০১৯)