কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান ডিআইজি মো. মনিরুল ইসলাম বলেছেন, জঙ্গিবাদের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইসলাম ধর্ম। এ কারণে বহির্বিশ্বে মুসলমান শুনলেই সন্দেহের চোখে তাকায়। পশ্চিমারা জঙ্গিবাদ ও ইসলামকে সমার্থক করে ফেলেছে।

তিনি বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকালে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাইসে উগ্রবাদ প্রতিরোধে গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে এ কথাগুলো বলেন।

তিনি আরও বলেন, ধর্ম কোন মানুষকে হত্যা বা ঘৃণা করতে শিখায়না। ধর্মীয় দায়িত্ববোধ থেকে এ বিষয়টা ওলামা ও মাশায়েখদের কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, জিপিএ-৫ কিংবা গোল্ডেন জিপিএ এর চেয়ে আপনার সন্তান মানুষ হবে কি না, দায়িত্ববোধসম্পন্ন নাগরিক হবে কি না এদিকে নজর দিতে হবে। আর তাহলেই শর্টকাটে বেহেশতে যাবার জন্য সে প্রলোব্ধ হবেনা। সে যুক্তি ও বুদ্ধি দিয়ে সঠিক পথটি বেছে নেবে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসবাদ উগ্রবাদ, সামাজিক অন্যায় অনাচার এগুলো দমন করতে হলে সামাজিক ঐক্যবদ্ধ রূপ, রাজনৈতিক সচেতনতা ও সদিচ্ছা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে। কিন্তু কারও কারও রাজনৈতিক সচেতনতাবোধ নেই। কেউ কেউ এদেশে জঙ্গিবাদকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে, নানাভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। যাতে তারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

আগের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৪ সনে গ্রেনেড হামলা, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা, আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা এগুলো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে সারা দেশে কাজ করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, নরসিংদীর পুলিশ সুপার প্রলয় জোয়ারদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমএ আফজল, জিপি অ্যাডভোকেট বিজয় শংকর রায়, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক প্রাণেশ কুমার চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাকাউদ্দিন আহাম্মদ রাজন প্রমুখ আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এ সেমিনারের আয়োজন করে।

(পিএস/এসপি/নভেম্বর ২০, ২০১৯)