মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার মদন উপজেলার শাহপুর -২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেনকে পি এসপি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে জাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনৈতিকভাবে  বদলী করা হয়েছে বলে এক লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

বৃহস্পতিবার উক্ত প্রধান শিক্ষক সংশ্লিষ্ট মহা-পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ অভিযোগটি দায়ের করেন।

অভিযোগে প্রকাশ, শাহপুর -২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকারি বিধি মোতাবেক বিগত ২৩ জানুয়ারী ২০১৮ ইং তারিখে প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে যোগদান করেন। অত্র বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ মানিক মিয়া তার যোগদানের পর থেকে ২৯মে ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত বিনানুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। তার অনুপস্থিতির বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মানিক মিয়া নিজেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দাবী করে মহামান্য হাইকোর্টে ৭ নভেম্বর ২০১৮ ইং তারিখে রিট পিটিশন নং-১৩০৬৮/২০১৮ দাখিল করেন যা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। মহামান্য হাইকোর্ট পিটিশনের আলোকে ২০ নভেম্বর ২০১৮ ইং তারিখ হতে ১ বৎসরের জন্যStatus que (ট্যাটাস্কো) জারী করেন। এই মামলার বিপরীতে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ২৫ জুলাই ২০১৯ ইং তারিখে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন মামলা নং-৯৩২০/২০১৯ তারিখ দাখিল করেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ২ জানুয়ারী ২০১৯ ইং তারিখে স্মারক নং-২২ মূলে রায়ের আলোকে বদলীর প্রস্তাব প্রেরণ করেন। কিন্তু মামলার রায় এখনো হয়নি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের এ প্রস্তাবের ভিত্তিতে ১৭ নভেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে বিভাগীয় উপপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা, ময়মনসিংহStatus que মূলে তাকে অন্যত্র বদলী করেন।Status que এর মেয়াদ ১৯অক্টোবর ২০১৯ ইং তারিখে অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু সহকারি শিক্ষক মানিক মিয়া প্রধান শিক্ষক হয়েছেন এ মর্মে কোন আদেশ নেই। সহকারি শিক্ষক হিসেবেই আছেন। অথচ উদ্দেশ্য মূলকভাবে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে প্রাথমিক সমাপনী পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার সূত্রধর জানান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশের প্রেক্ষিকে বদলীর প্রস্তাব পাঠাই। তবে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বদলির বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুল্লাহ মোবাইল ফোনে জানান, বিভাগীয় উপ-পরিচালক মহোদয়ের নির্দেশে আমি বদলীর প্রস্তাব প্রেরণ করি এর প্রেক্ষিতেই তাকে বদলী করা হয়েছে। আমিও চাই না প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বদলী হোক।

সহকারী শিক্ষক মোঃ মানিক মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

(এএমএ/এসপি/নভেম্বর ২১, ২০১৯)