চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : ডিসেম্বরেই শেষ করার কথা কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে সম্মেলনের জুড়ি নেই। সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে দলটি।

দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে, কর্ণফুলীকে বিএনপি-জামাত মুক্ত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দূর্গ তৈরী করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দিদারুল আলমের বিকল্প নেই বলে জানিয়েছে তৃণমূল।

যিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার আমলের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে জনগণের দুয়ারে-দুয়ারে গিয়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের জোয়ার জনগণের মাঝে তুলে ধরতে গিয়ে বার বার বড়উঠান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন।

দিদারুল আলম কর্ণফুলীবাসীকে জানান দিয়েছেন শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা। যে কর্ণফুলীতে আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মী পাওয়া যেতোনা। সেই উপজেলায় বিএনপি জামাতের দুর্গ ভেঙে তিনি প্রয়াত মহান নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর নেতৃত্বে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে বড় অবদান রেখেছিলেন। যা উপজেলার সকলে জানে।

সবই সম্ভব হয়েছে তার সততা ও যোগ্যতা দিয়ে। সাধারণ মানুষের কাতারে গিয়ে জামাত-বিএনপির ঘাঁটি ভেঙ্গে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি তৈরীর কারণে। সাবেক এই তুখোড় সাহসী ছাত্রলীগ নেতা, রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের সাহসী মুজিব সৈনিক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুজিবকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও আদর্শের আদর্শিত ব্যক্তিত্ব, বর্তমানে যিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি, বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান।

পুরো ইউনিয়নে তিনি গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের অভিভাবক। এছাড়াও তিনি ছিলেন পরিপূর্ণ সংগঠক ব্যক্তিত্ব। শ্রমজীবি খেটে খাওয়া সাধারণ নিরীহ মানুষের সুখ-দুঃখের সর্বসময়ের সাথী। জনস্বার্থে সকল প্রকার উন্নয়ন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তিনি সকলের মাঝে হয়ে উঠেছেন এক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান, একাধারে নেতা ও জনসেবক । যা এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত। উপজেলার গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন ওয়ার্ডে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য তুলে ধরেছেন।

বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম পুরুষ মরহুম জননেতা আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ভাই এর হাতেগড়া কর্মী তিনি। তার সুযোগ্য পুত্র বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় নেতা, মাননীয় ভূমিমন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি মহোদয় এর নির্দেশনায় তিনি তৃণমূলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

দিদারুল আলম স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, জেলাসহ তৃণমূলের সকল স্তরে তিনি এক সময় ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন পশ্চিম পটিয়া থানা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ন আহবায়ক, ছাত্রলীগ যুবলীগের পদ-পদবী গুলো তিনি পেয়েছিলেন আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ভাই এর সুপারিশক্রমে।

পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ইমেজের মাননীয় ভূমিমন্ত্রী মহোদয় এর আস্থায় উপজেলা আওয়ামীলীগ এর এডহক কমিটির সদস্য ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন তিনি। এমনকি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সাবেক এই ছাত্রনেতা দু’দুবার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এক্ষেত্রে তৃণমূল আ’লীগের নেতাকর্মীরা আগামীতে কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দিদারুল আলমের উপর আস্থা রাখার কথা জানান অনেকে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জেলা উপজেলায় বিভিন্ন পদে নবীনদের ওপর আস্থা রেখে তৃণমূলে দলীয় কমিটিতে অগ্রাধিকার দিতে চায়।

নেতৃত্বের দাবিদার অধিকাংশ হাইব্রিড নেতার মূল টার্গেট যেখানে দল কিংবা দলের আদর্শ নয়, প্রভাব-প্রতিপত্তি। দলের মধ্যে এমন অসুস্থ প্রতিযোগিতায় অনেক ক্ষেত্রে ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙে পড়ে। বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সেক্ষেত্রে সম্ভাব্য নির্ভরযোগ্যতার প্রেক্ষিতে সভাপতি হিসেবে উপজেলার আনাচে কানাচে বড়উঠানের চেয়ারম্যান দিদারুল আলমের নাম আলোচনা করতে দেখা যায়। এছাড়াও আরো কয়েকজন ত্যাগি নেতাদের নাম শোনা যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কর্ণফুলী উপজেলায় সম্মেলন নেই দীর্ঘদিন থেকে। ফলে এলাকায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ড অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। দলীয় নিষ্ক্রিয়তার কারণে পদবঞ্চিত নেতাদের মধ্যে জেলা নেতাদের ওপর ক্ষোভ আর হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। কোণঠাসা অনেক নেতা সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন। ক্ষুব্ধ মনোভাব ব্যক্ত করেছেন খোদ উপজেলা কমিটির অনেকেই। কেনোনা উপজেলা কমিটিতে উপদেষ্টা পদ রাখার বিধি বিধান কিংবা গঠনতন্ত্রে না থাকলেও গত কর্ণফুলী উপজেলা কমিটিতে তা লক্ষ্যনীয় পর্যায়ে ছিলো।

ওদিকে, বর্তমানে আওয়ামী লীগে চলমান শুদ্ধি অভিযানের ঢেউ লেগেছে তৃণমূলেও। এ ব্যাপারে জেলা-উপজেলা নেতাদের সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

চিঠিতে অনুপ্রবেশকারী, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজ, বিতর্কিত, যারা দলে বলয় তৈরি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন ও ‘পদ বাণিজ্যে’র সঙ্গে জড়িত- এমন নেতাদের কোনো স্তরের কমিটিতে স্থান না দিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য জানা যায়।

আরও জানা গেছে, ৮ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ও সম্মেলন। কিছুদিন আগে তৃণমূলে এ ধরণের চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সব পর্যায়ের কাউন্সিল শেষ করে তা তালিকা আকারে কেন্দ্রে পাঠাতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের কমিটি থেকেও বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাদ দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এটি চলমান ‘শুদ্ধি’ অভিযানের অংশ বলে দলটির নীতিনির্ধারণী সূত্র থেকে বলা হয়েছে।

(জেজে/এসপি/নভেম্বর ২২, ২০১৯)