কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : কুয়াকাটায় সস্ত্রীক ভ্রমনে এসে নদীতে পড়ে কামাল হোসেন(৩০)এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের আন্ধারমানিক নদীর কলাপাড়া ফেরিঘাটের পন্টুন থেকে সে পড়ে যায়।

প্রায় ১২ ঘন্টা পর বিকাল চারটায় ফেরির পন্টুন থেকে প্রায় ২০ ফুট দূরে নদী থেকে তার ডুবন্ত লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুুরিরা। নিহত পর্যটকের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগুরিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। পুলিশ নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরন করেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার মাদারীপুর জেলার মোস্তফাপুর থেকে কামাল তার স্ত্রী শারমিন জাহান সাথী সোমবার ভোরে কুয়াকাটাগামী কুয়াকাটা এক্সপ্রেসে কলাপাড়া ফেরিঘাটে পৌছে। সে গাড়ি থেকে নেমে পন্টুনের সামনে দাড়ালে হঠাৎ পন্টুনে ফেরি ভিড়তে গিয়ে ধাক্কা লাগলে সে নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাৎক্ষনিক নদীতে নেমে তার সন্ধান করলেও স্রোতের টানে সে ভেসে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী ফেরিঘাটের শ্রমিক মিন্টু জানায়, তারা ওই লোকটাকে নদীতে পড়তে দেখেই নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু অন্ধকার থাকায় সে স্রোতে ভেসে যায়।

পটুয়াখালী ফায়ার ষ্টেশনের সিনিয়র অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, পর্যটক নিখোঁজের খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে নেতৃত্বে বরিশাল রেঞ্জের ডুবুরি হাবিবুর রহমান ও গিয়াস উদ্দিননের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি দল প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টার পর তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

শারমিন জাহান সাথী জানায়, একমাস আগে তাদের বিয়ে হয়। তারা কলাপাড়া শহরের ফেরিঘাটে পৌছলে তার স্বামী বাস থেকে নেমে পন্টুনের কিনারে দাড়ায়। ফেরি ভিড়ানোর সময় পন্টুনের সঙ্গে সজোরে ফেরির ধাক্কা লাগলে সে নদীতে পড়ে ডুবে যায়। কামাল মোস্তফাপুর উপজেলায় কাঁচা মালের পাইকারি ব্যবসায়ী এবং তিনি সেখানকার বেসরকারি আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক আলী আহম্মেদ এর সহকারী হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। সদ্য বিয়ে হওয়া স্বামীকে হারিয়ে স্ত্রী শারমিন এখন নির্বাক হয়ে আছেন।

কলাপাড়া থানার ওসি এসএম মাসুদুজজামান জানান, লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

(এমকেআর/অ/আগস্ট ০৪, ২০১৪)