স্টাফ রিপোর্টার : ‘ফলে কী রাসায়নিক মেশাচ্ছেন আল্লাহ জানেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা যথেষ্ট না, মানুষের কিডনি-লিভার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’ রবিবার (২৪ নভেম্বর) বিএসটিআই-কে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন কথা বলেছেন।

এছাড়া ফলে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক শনাক্ত করতে বন্দরে ‘কেমিক্যাল টেস্টিং ইউনিট’ বসানোর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ফলে কী কী রাসায়নিক থাকে তা ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা করে জানাতে বলা হয়েছে।

আদালতে রবিবার রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার এবং বিএসটিআই’র পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সরকার এম আর হাসান (মামুন)।

গত ২৩ জুন মৌসুমী ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ হয় কি না, তা পরীক্ষা করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এরপর গত ২৬ আগস্ট বিএসটিআই জানায়, তারা ফলে রাসায়নিক পায়নি।

পরে আবার এ বিষয়ে শুনানিতে রাসায়নিকের পরীক্ষার জন্য দেশের বন্দরগুলোতে ‘কেমিকেল টেস্টিং ইউনিট’ স্থাপনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগরোধে মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ’র (এইচআরপিবি) করা একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি রায় দেন। সেই সাথে এ রিট মামলাটি চলমান রাখা হয়।

এবার আমের মৌসুম সামনে রেখে এইচআরপিবি ওই রিটে একটি সম্পূরক আবেদন করার পর গত ৯ এপ্রিল ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ ঠেকাতে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বড় আম বাগানগুলোতে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেন, বাজারে কোনো কলা নেই যে কার্বাইড ছাড়া পাওয়া যায়। বাজারে গেলে আমরা পাই, আপনারা পান না কেন? খাদ্য রাসায়নিক মেশানো অসৎ ব্যবসায়ীদের ভাবা উচিত তাদেরও পরিবারের কেউ না কেউ ভুক্তভোগী হতে পারে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২৪, ২০১৯)