স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর : দিনাজপুরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন পাতা পেঁয়াজ। তবুও কমছে না পেঁয়াজের দাম। বরং দু’দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৭০ টাকা থেকে ২’শ টাকায় উঠেছে। আর নতুন পাতা পেঁয়াজ প্রতিকেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭৫ টাকায়। এ নিয়ে বিপাকে ক্রেতা-সাধারণ।

দিনাজপুর জেলায় উৎপাদিত পাতা পেঁয়াজ বর্তমানে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। বেশি দাম পাওয়ার আশায় অনেক চাষী তাদের ক্ষেত থেকে আগাম পাতা পেঁয়াজ উঠাতে শুরু করেছেন। এর প্রতিকেজি একমোঠা বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৭৫ টাকায়। এরপরও কমছে না পেঁয়াজের দাম। বরং দু’দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৭০ টাকা থেকে ২’শ টাকায় উঠেছে। আর নতুন পাতা পেঁয়াজ প্রতিকেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭৫ টাকায়।

এনিয়ে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা-সাধারণ। দিনাজপুর শহরের প্রধান বাজার এম.এ মাকের্ট-বাহাদুর বাজারে মঙ্গলবার সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, দেশী কেজিপ্রতি ২’শ টাকা আর আমদানিকৃত কেজি প্রতি ১’শ ৮০ টাকা দরে।

পাইকারী বিক্রেতা মহসীন আলী জানালেন, তাদের করার কিছুই নেই। বেশি দানে ক্রয় হচ্ছে, পেঁয়াজ। তাই,বেশি দামে বিক্রি। খুচরা বিক্রেতা আজিজুলের মতে, পেঁয়াজ বিক্রিতে আর তেমন একটা লাভ নেই। আগের মতো বিক্রি হচ্ছে না পেঁয়াজ।

কিন্তু, সাধারন মানুষ বলছেন, ভিন্ন কথা। বাজারে প্রশাসনের তদরকি না থাকায় আমদানীর পরও পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে।

প্রথম দিকে বাজার মনিটরিং থাকলেও এখন আর চোখে পড়ে না। ক্রেতা দুলাল জানালেন, দু’দিন আগে যে পেঁয়াজ ১৮০ টাকায় কিনেছেন,আজ তা ২’শ টাকা। কমবে, এই আশায় পেঁয়াজ না কেনায় এখন উল্টো বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। নতুন পাতা পেঁয়াজ বাজাওে উঠলেও পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে ছুঁটছে।

তবে, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম বলছেন,দিনাজপুরের হাট-বাজার মনিটরিং এর মধ্যে রয়েছে। মনিটরিং সেল নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। ভ্রম্যমান আদালত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

খুচরা বিক্রেতার শফিকুল জানালেন, পিয়াজের দাম বাড়ায় বিক্রি কম,আগে প্রতিদিন ৭/৮ বস্তা পিয়াজ বিক্রি হলেও এখন অল্পকিছু বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক মাস থেকে পিয়াজের দাম বাড়ায় সাধরন মানুষের মাঝে পিয়াজ কেনার আগ্রহ কমেছে।

তবে, বিরল উপজেলার কৃষক মতিউর রহানের অভিযোগ,গত কয়েক বছর মৌসুমের সময় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১২ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে । এতে উৎপাদন খরচ ওঠেনি তাদের। তাই গত কয়েক বছর যাবৎ পেঁয়াজ আবাদ কমিয়ে দিয়েছেন তারা। দামের বিষয়ে সরকার যদি কেজিপ্রতি অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ধরে দিতো তাহলে পেঁয়াজ আবাদ করে একদিকে যেমন লাভবান হতো, পাশাপাশি উৎপাদন খরচ উঠে আসত তাদের। কিন্তু ঊর্ধ্বতন মহলের পেঁয়াজ নিয়ে কোনো দিকনির্দেশনা ও কার্যকরী বাজার মনিটরিং না থাকায় এবার পেঁয়াজ নিয়ে সবারই বিপাকে পড়তে হয়েছে।

(এস/এসপি/নভেম্বর ২৬, ২০১৯)