মানিক সরকার মানিক, রংপুর : দুর্নীতি ও জালিয়াতি করে সাড়ে চার কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয়ের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলায় রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নুর ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে ওই অধ্যক্ষ জামিনের জন্য তার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে উভয়পক্ষের শুনানী শেষে বিচারক জামিন না মজ্ঞুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার বাদী দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক ফেরদৌস রহমান দায়ের করা মামলায় এজাহারে অভিযোগ করেন, ওই অধ্যক্ষ ডা: মো: নুর ইসলাম রংপুর মেডিকেল কলেজে ভারী যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদির প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পূর্বানুমোদন ছাড়া ওইসব মালামাল ক্রয়ের উদ্যোগ নেন।

এ জন্য অধ্যক্ষ বিধিবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন কমিটি গঠন করেন। পরবর্তীতে তিনি যথাযথ চাহিদা ছাড়াই দরপত্র আহবান করেন এবং পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘বেঙ্গল সায়েন্টিফিক এন্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি’কে কার্যাদেশ প্রদান করেন। তিনি অসৎ উদ্দ্যেশ্যে গত বছরের ২১ জুন দরপত্র মূল্যায়ন করে একই তারিখে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে নোটিফিকেশন অব এওয়ার্ড প্রদান করেন এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করে ২৩ জুন কার্যাদেশ দেন। কার্যাদেশ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ প্রাপ্তির পর ২৭ জুন কার্যাদেশের শর্তানুযায়ী যন্ত্রপাতি সরবরাহ না করলেও অধ্যক্ষ নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য উক্ত প্রতিষ্ঠানের দাখিলকৃত বিল পাশ ও প্রশাসনিক অনুমোদনসহ ব্যয় মঞ্জুরী প্রাপ্তির আগেই বিলে স্বাক্ষর করে জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে দাখিল করেন।

এভাবে তিনি বেঙ্গল সায়েন্টিফিক এন্ড সার্জিক্যাল কোম্পানীর মালিক মো: জাহের উদ্দিন সরকারকে চার কোটি আটচল্লিশ লক্ষ ঊননব্বই হাজার তিন শত টাকা আতœসাতে সহায়তা করেন বলে অভিযোগে প্রকাশ।

দুদকের আইনজীবী হারুনর রশীদ জানান, আসামী অধ্যাপক ডা, নুর ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন তার বিরুদ্ধে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে অভিযোগ করে জামিনের আপত্তি করায় বিজ্ঞ বিচারক উভয় পক্ষের শুনানী শেষে জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

(এম/এসপি/নভেম্বর ২৬, ২০১৯)