সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শত শত একর কৃষি জমি বিনষ্ট করে গড়ে উঠেছে  ইটভাটা । পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে তাদের ইট ভাটার রমরমা ব্যবসা, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘ দিন থেকে এ অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর ইট ভাটায় মাটির ও নিচ্ছে ফসলি জমি থেকে। এ ছাড়া এলাকার ছোট বড় টিলা গুলো কেটে মাটি নিয়ে তৈরী করছে ইট। ইট ভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ার কারনে সাধারণ কৃষকরা ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না। এ যেন দেখার কেউ নেই। 

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার কাপাসিয়া সদর, তঁরগাও, ঘাগটিয়া, কড়িহাতা, রায়েদ, সনমানিয়া, টোক, সিংহশ্রী ইউনিয়নে রয়েছে এসব অবৈধ ইট ভাটা।

জানা যায়, কাপাসিয়া উপজেলায় প্রায় ৬৪ টি ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটা চালুয করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র,জেলা প্রশাসকের লাইলেন্স ও কৃষি বিভাগের অনুমতি লাগে কিন্তু ইটভাটার মালিকরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শত শত একর ফসলি জমি নষ্ট করে ইটভাটা তৈরী করছেন। এই সব ইটভাটার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সচেতন মহলে। বনাঞ্চলের পাশে, লোকালয়ে কৃষি জমিতে রয়েছে এসব ইটভাটা অবস্থিত। তবে প্রায় ইটভাটা কৃষি জমির উপর। প্রায়ই দেখা যায় ট্রলি গাড়ি দিয়ে ফসলি জমি ও টিলা কেটে মাটি এনে ইটভাটায় দেওয়া হয়। ইটভাটার কারণে এলাকার পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। এছাড়া এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে সর্দি কাশি সহ বিভিন্ন রোগের উক্রম হয়েছে। পরিবেশ দোষনের কারনে এলাকার রবি শষ্য মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। ইট ভাটার আশ পাশ এলাকায় নারকেল,সুপারী, কলা, ইক্ষু সহ নানান ফলজ গাছের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছেন বলে ভুক্তভুগি কুষকরা জানান।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী, ইট প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে কৃষিজমি, পাহাড়, টিলা, মজা পুকুর, খাল, বিল, খাঁড়ি, দিঘি, নদ-নদী, হাওর-বাওর, চরাঞ্চল বা পতিত জায়গা হতে মাটি কেটে বা সংগ্রহ করে ইটের কাঁচামাল হিসেবে উহা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ও দন্ডনীয় অপরাধ। এ আইনটি কোন তোয়াই করছে না ইটভাটার মালিকরা। এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা বলেন, অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(এসকেডি/এসপি/নভেম্বর ২৭, ২০১৯)