আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আগাম কোনো ঘোষণা ছাড়াই প্রথমবারের মতো আফগানিস্তান সফরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটিতে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের ধন্যবাদ জানাতেই ছুটির দিনে তার এ সফর। তিনি সেখানে গিয়ে বলেছেন, তার প্রশাসন শান্তি চুক্তি নিয়ে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটিতে সৈন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। তাদের সঙ্গে ছবি তোলা, চারপাশ পরিদর্শন ও নৈশভোজ করেন। এছাড়া আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গে সেখানে বৈঠকও করেছেন তিনি। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি চান।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এই আকস্মিক সফরে দেশটিতে গিয়ে সেখানে মোতায়েন মার্কিন সেনা আরও কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে কবে এবং কখন তা জানাননি। ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার পর আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। ১৮ বছরের ওই যুদ্ধে এখনো দেশটিতে প্রায় ১৩ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।

ট্রাম্প এমন সময়ে এই সফরে গেলেন যার কয়েকদিন আগেই তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করার লক্ষ্যে বন্দিবিনিময় হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে ২০১৬ সালে আটক দুজন পশ্চিমা শিক্ষাবিদকে মুক্ত করে দেয় তালেবান। বদলে তাদের তিনজন যোদ্ধাও মুক্ত হন। তালেবানও কাতারে শান্তি আলোচনার কথা বলেছে।

রাজধানী কাবুলের পাশেই অবস্থিত ওই বিমানঘাঁটিতে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা তাদের (তালেবান) সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং তাদের আমরা বলেছি যুদ্ধবিরতি করতে হবে কিন্তু তখন তারা যুদ্ধবিরতি চাচ্ছিল না। তবে এখন তারা যুদ্ধবিরতি চায়। আমি বিশ্বাস করি এটা সম্ভবত সেভাবে কার্যকর হবে।’ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেই ট্রাম্প দেশে ফিরে গেছেন।

আফগান সরকার দীর্ঘদিন ধরেই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করে আসছিল। কিন্তু তালেবান সরকারের সঙ্গে কোনো ধরেনর আলোচনায় যেতে রাজি নয়। তারা এ নিয়ে মার্কিন সরকারের সঙ্গে কোনো চুক্তি না হওয়ার আগে সরকারের সঙ্গে বসতে চায় না। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে এখন আফগানিস্তানের সবচেয়ে বেশি এলাকা তালেবানের দখলে আছে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২৯, ২০১৯)