ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : আবহাওয়া জানিয়েছে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। সকাল ও রাতে অনুভূত হচ্ছে শীত। আর রাতে এ শীত নিবারণের প্রধান উপাদান হচ্ছে লেপ ও তোষক। অনেকেই সাধ্য মত শীত নিবারণের জন্য তৈয়ার করছে লেপ তোষক। শীতের আগমনে কারো জন্য নতুন আবার কারো কারো পুরাতন লেপ তোষক মেরামত নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে ঈশ্বরগঞ্জের ধুনকররা।

উপজেলা সদরের বাজার ছাড়াও লক্ষীগঞ্জ, মাইজবাগ, মধুপুর, উচাখিলা, তারুন্দিয়া,সোহাগি, আঠারবাড়ী, খালবলা, জাটিয়া, সুটিয়া, নশতি ও বড়হিতের সূর্যের বাজারে ঘুরে দেখা গেছে লেপ-তোষকের দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভীড়। সারা বছরে তেমন কাজ না থাকলেও দু থেকে তিন মাস চলে তাদের এ ব্যস্ততা।

উপজেলা সদর বাজারের জিহান মেট্রের্স এর মালিক জয়নউদ্দিন জানান, পণ্যের কাপড় ও তুলার মূল্য আগের মতো থাকলেও কাজের চাপ আগের চেয়ে অনেক কম। অনেকেই আবার কমদামী কম্বল ব্যবহার করার কারণে লেপের চাহিদা আগের চেয়ে কমে এসেছে। তাই কারিগরদের মজুরি দেয়ার পর লাভের পরিমাণ খুব যৎসামান্য।

২৫ বছর ধরে এ পেশায় থাকায় নূরুল ইসলাম মিল্টন বলেন, চাদর তুলা ১৫০,গার্মেন্টস তুলা ৫০, ফোম তুলা ২০০, শিমুল তুলা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৪-৫ হাত একটি লেপ তৈরি করতে সময় লাগে ২ঘন্টা যা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার দুশত টাকায়। শিমুল তুলার গ্রাহক বেশি থাকার পরও বাজারে তুলা না থাকায় এবং দাম বেশি হওয়ায় গ্রাহকরা গার্মেন্টস তুলা বেশি ব্যবহার করছে।

(এন/এসপি/নভেম্বর ২৯, ২০১৯)