স্টাফ রিপোর্টার : মহানগরীতে সড়কের পাশে বাস-বে নির্মাণ, ফুটপাত দখলমুক্ত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম ত্বরান্বিতের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) ১৩তম সভায় সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে দক্ষিণ সিটি কর্পোশনের ডিটিসিএ সম্মেলন কক্ষে ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, ডিএমপি কমিশনার, রাজউক চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পৌরসভার মেয়ররা।

মন্ত্রী বলেন, ফুটপাত দখলমুক্তকরণ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ব্যাটারিচালিত যানবাহনমুক্তসহ বেশকিছু উদ্যোগ ও কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে তা ব্যাহত হয়। এখন সিটি কর্পোরশন আবার শুরু করছে। যদিও রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। তবে পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করা হবে।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়াতে কম্প্রেহেন্সিভ ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে। ভিজিবিলিটি স্টাডির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মানুষের সুবিধার্থে ৬৪টি পার্কিং স্পট অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ডিটিসিএ-এর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কারিগরি টিম গঠন করা হবে।

ইনার রিং-রোড বাস্তবায়নের জন্য জলাধার ভরাট করা যাবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা সংরক্ষণ করত হবে। নারায়ণগঞ্জের আদমজী থেকে যে লেক আছে তা ভরাট করা যাবে না। শুধু তা-ই নয়, কোনো জলাশয় ও লেক ভরাট করে কোনো নির্মাণকাজ করা যাবে না। স্রোতধারা বিঘ্নিত না করে নির্মাণকাজ করতে হবে বলে জানান তিনি।

কাদের বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে ঢাকা মহানগরী থেকে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল সরিয়ে নেয় হবে। এ লক্ষ্যে স্থান নির্ধারণসহ অন্যান্য কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। পরিবহনসহ অন্য সমস্যা সমাধানে দ্রুত স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদের পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে একটি অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঢাকা উত্তর, দক্ষিণসহ পার্শ্ববর্তী সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়ররা বসবেন। মন্ত্রণালয় ডিটিসিএ, ডিএমপি, হাইওয়ে পুলিশ বসে সমন্বিত পদক্ষেপ নেবেন।

‘রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক যানজট তৈরি করছে। সড়ক থেকে তা অপসারণে বিআরটিএ-সহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদপুর বিআরটিসির বাস ডিপোর পাশে যানজট নিরসনে সমন্বয়ের প্রস্তাব এসেছে। সেটা সরেজমিন দেখে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। যাতে যানজট না হয়’ বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, এখন থেকে রাজউক থেকে ভবন নির্মাণের অনুমোদনের সময় ডিসিটিএ থেকে ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে হবে। রাজউকের চেয়ারম্যানকে তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

মহানগরীর সড়কের পাশে বাস-বে নির্মাণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হবে। প্রয়োজনে আরএসডি স্থান বরাদ্দ দেবে উদ্যোগী সংস্থাকে। সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সিটি ফরেস্ট নির্মাণ করবে সিটি কর্পোরেশন। এজন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

বায়ু দূষণ মোকাবিলা ও সমাধানের ব্যাপারে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর অফিস এ ব্যাপারে উদ্যোগী। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও সিটি কর্পোরেশনকে নিয়ে কাজ চলছে।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০১, ২০১৯)