সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : প্রাইভেটকারে জাতীয় সংসদের স্টিকার লাগিয়ে ফেনসিডিল পাচারের সময়  যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের দু’নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ১৪০ বোতল ফেনসিডিল।

সোমবার রাত ১০টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার আমান উল্লাহ ডিগ্রী কলেজের পিছন থেকে এসব আটক ও উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলো, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা বাজারের হাজী শেখ আব্দুর রশীদের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শেখ আমজাদ হোসেন (৪৯) ও একই উপজেলার ঝিকরা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে উপজেলা মোটর শ্রমিকলীগের সভাপতি মজনুর রহমান (৫৬)।
কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক হারাধন কুণ্ডু জানান, একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারে বিপুল পরিমান ফেনসিডিল ঢাকায় পাচার করা হচ্ছে মর্মে তারা খবর পান। এরই ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০টার দিকে তিনিসহ সহকারি উপপরিদর্শক বিশ্বজিৎ কুমার সরকার, সহকারি উপপরিদর্শক শেখ নাজিবুর রহমান উপজেলা সদরের আমানউল্লাহ ডিগ্রী কলেজের পিছনে কলারোয়া - যশোর সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় ঢাকাগামি জাতীয় সংসদের স্টিকার লাগানো সাদা রঙের প্রাইভেটকার থামিয়ে তল্লাশি করেন। ওই প্রাইভেটকারের পিছনের ডালা খুলে তারা আমদানি নিষিদ্ধ ১৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেন। এ সময় ওই গাড়িতে অবস্থান করা কলারোয়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আমজাদ হোসেন ও মোটর শ্রমিকলীগ নেতা মজনুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। আটক করা হয় আমজাদ হোসেনের মালিকানাধীন প্রাইভেটকারটি। মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। আটককৃত ফেনসিডিলের মূল্য ২৬ হাজার টাকা।
পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানান, আটককৃত মজনুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার বাদি মহিতুর রহমানের ভাগ্নে।
স্থানীয় একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, জোনাকী সিনেমা হলের পিছনে সার্বক্ষনিক অবস্থান করা গোপীনাথপুরের রণজিৎ কুণ্ডুর রেকডীয় জমি দখলের সঙ্গে যুক্ত যুবলীগ নেতা কর্মীরা যুবলীগের আহবায়কের কথামত ওই ফেনসিডিল গাড়িতে তুলে দেয়।
এ ব্যাপারে আটককৃত যুবলীগ নেতা আমজাদ হোসেন জানান, তার মালিকানাধীন প্রাইভেটকারটি সাবেক আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘদিন ব্যবহার করেছেন। ওই সময় জাতীয় সংসদের স্টিকার লাগানো থাকলে তা আজও খোলা হয়নি। সোমবার সারাদিন গাড়িটি আমানউল্লাহ ডিগ্রী কলেজের পাশে রাখা ছিলে। কে বা কারা তার সম্মান নষ্ট করার জন্য গাড়ির পিছনের ডালা খুলে ফেনসিডিল রেখে দিয়েছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুনিআস মোফাজ্জেল হোসেন কনক জানান, এ ঘটনায় আটককৃত দু’ নেতার নাম উল্লেখ করে সহকারি উপপরিদর্শক শেখ নাজিবুর রহমান বাদি হয়ে ১৯৭৪ সালের বিমেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(বি) ধারায় একটি মামলা (৫নং) দায়ের করেছেন। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
(আরকে/এএস/আগস্ট ০৫, ২০১৪)