স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘ ১৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মৌলভীবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে চেয়ার ও জনমিলন কেন্দ্রের জানালা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের পুরোটা সময় জুড়ে দুই নেতার অনুষারী হিসেবে পরিচিত জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া আর হলের চেয়ার ভাংচুরের ঘটনায় হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। 

সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে সম্মেলন চলাকালে পৌর জনমিলন কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে অভিযুক্ত করেছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ।

জানা যায়, দুপুরে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে যখন জেলার নেতারা বক্তব্য রাখছিলেন ঠিক তখন স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের অনুষারী হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় এক গ্রুপের নেতাকর্মীরা অন্য গ্রুপের নেতাকর্মীদের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারে।

এদিকে সকাল থেকে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আসতে থাকে সম্মেলন স্থল পৌর জনমিলন কেন্দ্রে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে জনমিলন কেন্দ্রে বাড়তে থাকে নেতাকর্মীদেও উপচেপরা ভিড়।
দুপুরে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য শুরু হওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পাল্টা-পাল্টি স্লোগান দিতে শুরু করলে শুরু হয় টানটান উত্তেজনা। এসময় বেশ কয়েকবার মঞ্চ থেকে তাদের স্লোগান দিতে বারণ করা হয়। কিন্তু তারা স্লোগান দেওয়া বন্ধ করেনি।

কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান তার বক্তব্য শুরু করলে সম্মেলনের প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহমদ হোসেন সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য বার বার আহবান জানান। সংঘর্ষ বন্ধ না করলে সম্মেলন স্থল ত্যাগ করার ঘোষণা দেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান ও কামাল হোসেন।

(একে/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০১৯)