স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর : দিনাজপুরের পার্বতীপুরে সাড়ে ৩ বছরের শিশু আবিদা সুলতানা মিম ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামী ধর্ষক আমজাদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে আজ সোমবার দুপুরে রংপুর মর্ডাণ মোড় নামক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারের পর সে সাড়ে ৩ বছরের শিশু আবিদা সুলতানা মিম ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনার স্বীকারোক্তি পুলিশ এবং পর্বতীতে আদালতে দিয়েছে।

পরে তাকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান। ধর্ষক আমজাদ হোসেন পলাতক থাকায় এর আগে এঘটনায় ধর্ষকের দাদী , মোমেনা (৬০) ও চাচা শাহিনুর (৪০)কে আটক করে পুলিশ।

ধর্ষক আমজাদ হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দীতে জানায়,ওইদিন মিমসহ তার কয়েকজন সঙ্গী বন্ধুরা দুপুরে তার বাড়ির পাশে খেলছিলো। সে মিমকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে ডেকে নিয়ে। পরে কয়েকবার পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। মিম প্রথমবারের চিৎকার শুরু করে। সে মুখ চেপেধরে তারপরও পর্যায়ক্রমে আবারো কয়েকবার ধর্ষণ করে। এতে নেথিয়ে পড়ে মিম।অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় মিমের। সে তা বুঝতে পেরে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ে। রাত হলে মিমের লাশ অন্য কোথাও ফেলে দিবে বলে মনে মনে বৃদ্ধি পাকায়। কিন্তু, এরই মধ্যে মিমের নিখোঁজ সংবাদ মাইকে প্রচার ও খোঁজা-খুজি শুরু হলে সে পাশ্বের গ্রামে পালিয়ে যায়। এরই মধ্যে জানতে পারে তার বাড়িতে ঘরের তালাবদ্ধ দরজা ভেঙ্গে পুলিশ ও এলাকাবাসী মিমের লাশ উদ্ধার করেছে। তাই,সে পালিয়ে যায়।

বাবা আরিফুল ইসলাম ও মা নাসরিন জাহান জানান, শনিবার দুপুর আনুমারিক ২টা ৩০ মিনিট থেকে মিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুজির পর আমজাদের বাড়িতে গেলে তালাবদ্ধ দেখতে পাওয়ায় পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশে খবর দেয়া হয় ।

পরে পুলিশ ও এলাকাবাসী ঘরের দরজা ভেঙ্গে টেবিলের নিচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিশুকে উদ্ধার করে।তাৎক্ষনিক গ্রামবাসীর সহায়তায় পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষনা করেন।

নিহত শিশু মিম পার্বতীপুর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলামের মেয়ে। আর একই গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে ধর্ষক আমজাদ হোসেন (২০)।

(এস/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০১৯)